চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গত মৌসুমে প্যারিসে ফাইনাল খেলেছিল রিয়াল মাদ্রিদ ও লিভারপুল। ১-০তে জিতে রেকর্ড ১৪ বারের মতো ট্রফি উঁচিয়ে ধরে লস ব্লাঙ্কোস দল। তারকা ঠাঁসা সেই ম্যাচে গোলের দেখা পেয়েছিলেন ব্রাজিলিয়ান ভিনিসিয়াস জুনিয়র।
গত মৌসুমে স্প্যানিশ জায়ান্টদের অনেক ম্যাচে হেসেখেলে গোল করেছিলেন ফ্রেঞ্চম্যান করিম বেনজেমা, ভিনিসিয়াস ছিলেন সেরা ফর্মে। মধ্যমাঠে মাদ্রিদের ক্লাবটির তিন তারকা ক্রোয়েশিয়ান লুকা মদ্রিচ, জার্মান টনি ক্রুস এবং সেলেসাও কাসেমিরো ত্রয়ীর রাজত্ব চলছিল। ফাইনালে সবাইকে ছাড়িয়ে সেরা খেলোয়াড় হয়েছিলেন বেলজিয়ান গোলরক্ষক থিবো কোর্ত্তয়া।
শক্তিমত্তায় শীর্ষে থাকা সেই রিয়াল এবং এ মৌসুমের রিয়ালের পার্থক্য অনেক। নানান বাধায় লা-লিগার শিরোপা দৌড়ে পিছিয়ে পড়েছে কার্লো আনচেলত্তির দল। প্রিমিয়ার লিগের আটে থাকা লন্ডনের লিভারপুলকে অ্যানফিল্ডে মঙ্গলবার রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোয় তাই বড় কোনো পরীক্ষার সম্মুখীনই হতে হচ্ছে না, আলোচনা এমন।
মোটামুটি দুর্দশায় আছে রিয়াল মাদ্রিদ। আনচেলত্তির কৌশল কাজ করছে না, লিগে বার্সেলোনা থেকে পিছিয়ে আছে আট পয়েন্ট। কাসেমিরো চলে গেছেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে।
ফুলব্যাক নিয়ে সমস্যায় আছেন আনচেলত্তি। রাইটব্যাক দানি কারভাহাল চোট ও ক্লান্তিতে অবসাদগ্রস্ত গত মাসজুড়েই। রাইটব্যাক ডেভিড আলাবা সামলাবেন সালাহকে।
বিপর্যস্ত হয়ে আছে রিয়ালের মাঝমাঠ। খেলতে পারছেন না অরিলিয়ে শুয়ামেনি। মধ্যমাঠে এমন একটি জুটি খেলতে চলেছে, যারা আগে কখনও একসাথে মাঠেই নামেননি।
বড় ম্যাচের খেলোয়াড় করিম বেনজেমা মাসলের চোটে ভুগছেন। তার চোট রিয়ালের জন্য বড় ক্ষতি। খেলতে পারলেও পারফরম্যান্সের পুরোটা দিতে পারবেন কিনা ফরাসি তারকা সেটা নিয়েই প্রশ্ন।
অন্যদিকে ঘরের মাঠ অ্যানফিল্ডে বরাবরই অপ্রতিরোধ্য লিভারপুল, যেকোনো সময় খেলার ফলাফল পরিবর্তন করে দিতে পারেন সালাহরা। দর্শক সমর্থন, চেনা মাঠ ও অন্যসব বিবেচনায় অ্যানফিল্ডে কঠিন পরীক্ষার সম্মুখীন হতে হবে না ইয়ূর্গেন ক্লপের শিষ্যদের। বিশ্লেষকরা বলছেন, পাল্লা তাই স্বাগতিকদের দিকেই ভারি।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় রাত ২টায় অ্যানফিল্ডে গড়াবে রিয়াল-লিভারপুলের শেষ ষোলোর প্রথম লেগের লড়াই।