বায়ার্ন মিউনিখের সাথে সম্পর্কের সুতোটা কেটে গেছে রবার্ট লেভান্ডোভস্কির। চুক্তির মেয়াদ না ফুরালেও ফুরিয়েছে জার্মান ক্লাবটির প্রতি পোলিশ তারকার মোহ। মন পড়ে আছে স্পেনে, বায়ার্ন থেকে অব্যাহতি নিতে তাই অনবরত দিয়ে চলেছেন চাপ।
বায়ার্নে নিয়মিত গোল পাচ্ছেন, সতীর্থদের দিয়ে গোল করাচ্ছেন, তারকা খ্যাতি পেয়েছেন, সাথে বিশাল অঙ্কের অর্থ তো আছেই। তবে নিজেকে শান্ত রাখতে পারছেন না লেভা। আগস্টেই ৩৪-এ পা রাখবেন। খেলবেনই বা আর কতদিন! এতকিছুর পরও জোটেনি একটা ব্যালন ডি’অর। সেই আক্ষেপ ঘোচাতে সময় থাকতেই স্পেনে উড়াল দিতে চান।
‘বায়ার্নে আমার সময় ফুরিয়েছে। সেখানে ক্যারিয়ার চালিয়ে নেয়ার কোনো সম্ভাবনা দেখছি না। সবচেয়ে ভালো সমাধান হল প্রস্থান। আশা করি তারা আমাকে ধরে রাখবে না। স্পেন দুর্দান্ত! মায়োর্কায় আমাদের একটি বাড়ি আছে। স্পেনের প্রতি আমার বিশেষ অনুভূতি আছে। এটি আমার কাছে কেবল ছুটি কাটানোর জায়গা নয়।’
লেভান্ডোভস্কির মনজুড়ে এখন কেবলই বার্সেলোনা। ন্যু ক্যাম্পে খুঁটি গাড়তে চান। দলকে সাফল্য এনে দিয়ে একটি বারের জন্য হলেও পেতে চান অমৃত ব্যালন ডি’অরের স্বাদ। জাভির অধীনে খেলতে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন। ক্লাবকেও ক্রমাগত বলে যাচ্ছেন, থাকতে চাই না আমি। তবে প্রস্থানটা হোক সুন্দর, বায়ার্ন সিইও অলিভার কানের কথায় যা স্পষ্ট।
‘আমি বলতে পারব না কেনো রবার্ট তার পরিস্থিতি জানাতে গণমাধ্যমকে বেছে নিয়েছিলেন। এমন পাবলিক বিবৃতি কোথাও দেখা যায় না। আমাদের উভয় পক্ষের জন্য সর্বোত্তম সমাধান খুঁজে বের করতে হবে। এটা খুবই সম্ভব ছিল। আমরা আমাদের জন্য সেরা সমাধান খুঁজতে চাই।’
লেভার এজেন্ট পিনি জাহাভি নিয়মিত বার্সা সভাপতি হুয়ান লাপোর্তার সাথে যোগাযোগ রাখছেন। টাকা পয়সা নিয়ে চিন্তিত না হতে দিচ্ছেন পরামর্শ। ৩৫ থেকে ৪০ মিলিয়ন ইউরো ঢালার মতো সামর্থ্য নিশ্চয় রয়েছে বার্সার। বাভারিয়ানদের সোনার ডিম দেয়া হাঁসকে দলে নিতে তাই বেশ আত্মবিশ্বাসী বার্সাও। লেভার এজেন্ট জাহাভির কথায়ও যা পরিষ্কার।
‘লেভান্ডোভস্কির জন্য বায়ার্ন এখন অতীত। আট বছরের সম্পর্কের ইতি টানতে চান তিনি। এ সময়ে তিনি ক্লাবের জন্য সবকিছু দিয়েছেন। এখন প্রায় ৩৪ বছর বয়সে, তিনি তার জীবনের স্বপ্ন বাস্তবায়নের সুযোগ পেয়েছেন। কেন বায়ার্ন এই সুযোগটি কেড়ে নিচ্ছে?’