জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত খবরের কারণে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়কে অধ্যাদেশ বিরোধী নিয়োগ বন্ধ রাখতে চিঠি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন।
বুধবার ৩ জানুয়ারি ইউজিসির পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ জামিনুর রহমান স্বাক্ষরিত চিঠিটি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর প্রেরণ করা হয়।
চিঠিটিতে উল্লেখ করা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন মনে করে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সংবিধি-৯’ যথাযথ প্রতিপালন না করে বাংলা ও আইন বিভাগে নিয়োগের কার্যক্রম চলছে। এতে বলা হয়, ‘সংবিধি-৯ অমান্য করে যেসব বিভাগে নিয়োগের কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে তা স্থগিত করার জন্য অনুরোধ করা হলো।’
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়কে জরুরী ব্যবস্থা গ্রহণ করে লিখিতভাবে অবগত করার জন্যও বলা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ‘সংবিধি-৯’ এ স্পষ্টত উল্লেখ করা হয়, কোনো বিভাগে শিক্ষক নিয়োগ দিতে হলে প্রথমে বিভাগটির পরিকল্পনা কমিটির সভায় তা অনুমোদন করতে হবে। যদি সভায় অনুমোদিত হয় তবে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সুপারিশ রেজিস্ট্রারের কাছে পাঠাবেন বিভাগটির সভাপতি। পরে রেজিস্ট্রার বিভিন্ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে উপাচার্যের সম্মতক্রমে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবেন। রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট শাখা আবেদনপত্র সংগ্রহ করে বিভাগের পরিকল্পনা কমিটিতে যাচাই-বাছাইয়ের জন্য প্রেরণ করবেন। কমিটিই সিদ্ধান্ত নেবে, কারা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে।
কিন্তু, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ও আইন বিভাগের নিয়োগের ক্ষেত্রে প্ল্যানিং কমিটি থেকে বিজ্ঞপ্তির জন্য কোনো প্রকার সুপারিশ করা হয়নি। প্রশাসন কমিটির আপত্তি সত্ত্বেও চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি বাংলা বিভাগে সাত পদে এবং ২৩ মার্চ আইন বিভাগের দুই পদে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে।
পরে ১৭ ডিসেম্বর আইন বিভাগ ও ১৮ ডিসেম্বর বাংলা বিভাগের শিক্ষক নিয়োগের জন্য নিয়োগ বোর্ড ডাকা হয়। শিক্ষক সমিতির তোপের মুখে আইন বিভাগের নিয়োগ বোর্ড উপাচার্যের বাসভবনে গোপনে বৈঠক করা হয়।