ঈদুল আজহার প্রথম দিন চামড়ার যোগান থাকলেও ন্যায্য দাম পায়নি মৌসুমী ব্যবসায়ীরা। ঈদের দ্বিতীয় দিনে দাম ২ থেকে ৩শ টাকা বাড়িয়েও প্রত্যাশা অনুযায়ী চামড়া মেলেনি লালবাগের মোকামগুলোতে।
আড়তদাররা বলছেন: গতবছরের চেয়ে পশু জবাই কমেছে কমপক্ষে ৩০ শতাংশ। অবশ্য হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্ট এসোসিয়েশন নেতাদের দাবি, লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী লাখ খানেক চামড়া সংগ্রহ হবে পোস্তায়। তবে ছাগলের চামড়া এবং গরু-মহিষের মাথা ও শিং বেচাকেনার সাথে জড়িতদের ব্যবসা এবার মন্দা। কারণ ক্রেতা মিলছেনা কোথাও।
সারা বছর যে পরিমাণ পশুর চামড়া বেচা-বিক্রি হয় তার প্রায় ৬০ ভাগই সংগ্রহ করা হয় কোরবানির সময়। কাজেই ঈদুল আজহার দিন থেকে পরবর্তী কয়েকদিন দম ফেলার সময় পাননা লালবাগের পোস্তা, হাজারীবাগের আড়তদার এবং ট্যানারি মালিকরা। তবে এবার ঈদের দ্বিতীয় দিনই পোস্তায় চিরচেনা হাঁকডাক ব্যস্ততা পাওয়া গেলনা।
৪২ বছর ধরে কাঁচা চামড়া কিনে লবন মেখে সংরক্ষণ করেন হাজী মো.সমির উদ্দিন। পোস্তার রাস্তায় বেচাকেনার জৌলুস কমে যাওয়ায় হতাশা তার চোখে-মুখে। ঈদের দ্বিতীয় দিনেও অনেক মৌসুমী ব্যবসায়ীরা ঢাকার বিভিন্ন মাদ্রাসা এবং মহল্লা থেকে চামড়া নিয়ে আসেন পোস্তায়।

লালবাগের পোস্তা কেন্দ্রিক আড়তদার ও কমিশন এজেন্টদের সংগঠন বাংলাদেশ হাইড এন্ড স্কিন মার্চেন্ট এসোসিয়েশন। নেতারা আশাবাদী মৌসুমী ব্যবসায়ী, আড়তদার, ট্যানারি মালিক সব পক্ষই জিতবেন।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তৎপরতা দেখা গেছে পোস্তার আড়তে আড়তে। চামড়া সংরক্ষণে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মোটা লবন নিয়ে কেউ যেন ব্যবসায়ীদের হয়রানি করতে না পারে তার দেখভাল করছে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সহযোগী সংস্থা-বিসিক।