গত অর্ধযুগে আইসিসির কয়েকটি বৈশ্বিক ইভেন্টে অংশ নিতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। এ সময়ে তারা খেলতে পারেনি একটি করে টি-টুয়েন্টি ও ওয়ানডে বিশ্বকাপ, একটি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে। অপেক্ষার শেষে বিশ্বমঞ্চে প্রত্যাবর্তনটাকে জয়ে রাঙিয়ে শুরু করল ক্রেইগ আরভিনের দল।
সোমবার হোবার্টে টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ডে গ্রুপ বি-এর ম্যাচে আয়ারল্যান্ডকে ৩১ রানে হারিয়েছে জিম্বাবুয়ে। টসে হেরে আগে ব্যাট করে জিম্বাবুয়ে ৭ উইকেটে ১৭৪ রান তোলে। জবাবে আয়ারল্যান্ড ৯ উইকেটে ১৪৩ রানে থামে।
প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলে শূন্য রানে রেগিস চাকাভার উইকেট হারিয়েছিল জিম্বাবুয়ে। জশ লিটলের বলে তিনি লোরকান টাকারের গ্লাভসবন্দি হন।
মার্ক অ্যাডাইরের বলে ওয়েসলি মাধভেরের ক্যাচ বাউন্ডারি লাইনের কাছে ফেলে দেন কার্টিস ক্যাম্পার। জীবন পাওয়া মাধভেরে ৪ চারে ২২ রান করে লিটলের শিকার হন।
৩৭ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে জিম্বাবুয়ে। চতুর্থ উইকেটে শন উইলিয়ামসনের সঙ্গে ৪২ রানের জুটি গড়ে বিপর্যয় সামলান সিকান্দার রাজা। পঞ্চম উইকেটে মিল্টন শুম্বার সঙ্গে রাজা আরও ৫৮ রান যোগ করে দলকে কক্ষপথে আনেন।
দারুণ ফর্মে থাকা ম্যাচসেরা রাজা ৪৮ বলে ৫ চার ও ৫ ছক্কায় ৮২ রানের নান্দনিক ইনিংস খেলে জিম্বাবুয়েকে বড় স্কোর পাইয়ে দিতে ভূমিকা রাখেন। শেষদিকে লুক জঙ্গে ১০ বলে ৩ চারে ২০ রানে অপরাজিত থাকেন।
আইরিশদের পক্ষে জশ লিটল ২৪ রানে নেন ৩ উইকেট। দুটি করে উইকেট নেন সিমি সিং ও মার্ক অ্যাডাইর।
জিম্বাবুয়ের মতোই প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলে শূন্য রানে আয়ারল্যান্ডের উইকেটের পতন হয়। পল স্টার্লিংকে বোল্ড করেন রিচার্ড এনগারাভা।
নিয়মিত বিরতিতে ব্যাটারদের হারাতে থাকা আইরিশদের স্কোর একপর্যায়ে হয়ে যায় ৪ উইকেটে ২২ রান। পঞ্চম উইকেটে কার্টিস ক্যাম্পার ও জর্জ ডকরেল ৪২ রানের জুটি গড়ে শুরুর বিপর্যয় সামাল দেন। রাজার বলে ২৪ রান করা ডকরেল বোল্ড হলে জুটির অবসান হয়।
দলীয় ৯১ রানের মাথায় ষষ্ঠ ব্যাটার হিসেবে ক্রিজ ছাড়েন ক্যাম্পার। ২৭ রান করে উইলিয়ামসের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে যান।
১৫তম ওভারে পরপর দুই বলে গ্যারেথ ডেলানি ও সিমি সিংয়ের উইকেট তুলে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগান টেন্ডাই চাতারা। হ্যাটট্রিক বল ঠেকিয়ে দেন ব্যারি ম্যাকার্থি। ব্লেসিং মুজারাবানির বলে রাজার হাতে ক্যাচ দেন অ্যাডাইর।
জিম্বাবুয়ের পক্ষে ৩ উইকেট নেন মুজারাবানি। দুটি করে উইকেট পান চাতারা ও এনগারাভা।