চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন শহীদ সলিমউল্লাহর পুত্র বরেণ্য সংগীতশিল্পী, সুরকার সাদী মুহম্মদ। বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে মোহাম্মদপুর জামে মসজিদ কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়।
এরআগে যোহর নামাজের পর মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে হয় সাদী মুহম্মদের নামাজে জানাজা।
শেষবার সাদীকে দেখতে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, সংগীতশিল্পী খুরশীদ আলম, অভিনেতা খায়রুল আলম সবুজ, রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, গাউসুল আলম শাওন, কবির বকুলো অনিমা রায়সহ সাংস্কৃতিক অঙ্গনের বহু পরিচিত মানুষ ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব৷
বুধবার রাত ৮টার দিকে মোহাম্মদপুর তাজমহল রোডের নিজ বাসা থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় সাদী মুহম্মদের মরদেহ। মুত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৬৯ বছর। তার মৃত্যুতে শোকার্ত সংগীত অঙ্গন থেকে পুরো সাংস্কৃতিক অঙ্গন।
সংগীতশিল্পী সাদী মুহম্মদ ২০০৭ সালে ‘আমাকে খুঁজে পাবে ভোরের শিশিরে’ অ্যালবামের মাধ্যমে সুরকার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। ২০০৯ সালে তার ‘শ্রাবণ আকাশে’ ও ২০১২ সালে তার ‘সার্থক জনম আমার’ অ্যালবাম প্রকাশিত হয়। এছাড়াও তিনি সাংস্কৃতিক সংগঠন রবিরাগের পরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
১৯৭১ সালে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি হত্যা করে তার বাবা সলিমউল্লাহকে। তার বাবার নামে ঢাকার মোহাম্মদপুরের সলিমউল্লাহ রোডের নামকরণ করা হয়। সাদী মহাম্মদের ভাই শিবলী মোহাম্মদ বাংলাদেশের একজন স্বনামধন্য নৃত্যশিল্পী।
২০১২ সালে সাদী মোহাম্মদকে আজীবন সম্মাননা পুরস্কার প্রদান করে চ্যানেল আই। ২০১৫ সালে বাংলা একাডেমি তাকে রবীন্দ্র পুরস্কার প্রদান করে।
সাদী মুহম্মদের মৃত্যুতে শোকার্ত চ্যানেল আই পরিবার।