বায়ার্ন মিউনিখ ছেড়ে বার্সায় আসার কথা জানিয়ে বসে আছেন রবার্ট লেভান্ডোভস্কি। অন্যদিকে দলবদল শেষ হতে চললেও পোলিশ তারকাকে নিয়ে সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেননি হুয়ান লাপোর্তা। লেভার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হলেও ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ং ইস্যুতে পরিষ্কার বার্সা সভাপতি। জানিয়েছেন ডাচ তারকাকে বিক্রির কোনো ইচ্ছাই নেই। সঙ্গে রাফিনহাকে চাচ্ছেন তিনি।
বায়ার্নে চুক্তির মেয়াদ ফুরোয়নি লেভার। এরইমধ্যে ঘোষণা দিয়েছেন আগামী মৌসুমে বাভারিয়ানদের জার্সি গায়ে জড়াতে চান না। কঠিন বরফ গলাতে এগিয়ে আসেনি বায়ার্নও। অপেক্ষা কেবল ভালো প্রস্তাবের। জার্মান ক্লাবটির মাথাব্যথার কারণ, অর্থনৈতিক মন্দায় থাকা বার্সা ক্ষণে ক্ষণে মত বদল। কচ্ছপের মতো গলা বাড়িয়ে আলোচনা শেষ না করেই ফের ভেতরে ঢুকিয়ে নেয়া। ফল, দলবদল মৌসুম শেষ হওয়ায় পথে থাকলেও চূড়ান্ত হয়নি কিছুই।
অন্যদিকে ডি ইয়ংকে পেতে কাড়িকড়ি অর্থ ঢালতে প্রস্তুত ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। সুযোগ বুঝে চড়া মূল্যে বিক্রি করা যেত ডাচম্যানকে। তাতে অর্থের যোগান বাড়ত কাতালান ক্লাবটির। সে পথে হাঁটেনি বার্সা। ডি ইয়ংকে রেখেই বাকি পরিকল্পনা আগাতে চান ক্লাবটির সভাপতি।
‘কেবল ম্যানচেস্টার নয়, অনেক ক্লাবই ডি ইয়ংকে চায়। তাকে বিক্রির কোনো ইচ্ছা আমাদের নেই। সেও এখানে থাকতে চায়। তাকে বিশ্বের অন্যতম সেরা মিডফিল্ডার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তাকে পেয়ে আমরা খুশি। আমার ক্ষমতা বলে যা করতে পারি তা করতে চাই, যাতে ডি ইয়ং এখানে থাকে। বেতনের সমস্যাও সমন্বয় করা হবে।’
এদিকে ব্রাজিলিয়ান তারকা উইঙ্গার রাফিনহা আসতে চান বার্সায়। তার ক্লাব লিডস ইউনাইটেডের সাথে কথা চালাচালি করছে বার্সা। ৬০ মিলিয়নে চুক্তিতে আগাতে প্রস্তুত বার্সা। লাপোর্তার কথায় মিলছে সে আভাসই।
‘রাফিনহা বার্সায় আসতে চায়। আমরা তার সাথে যোগাযোগ করছি। লিডসের সাথে এ নিয়ে কথা বলেছি। এখানে অন্য ক্লাবও আছে যারা রাফিনহাকে চায়। তারাও তাকে প্রস্তাব দিচ্ছে।’
ডি ইয়ং-রাফিনহাকে নিয়ে খোলামেলা কথা বললেও লেভান্ডোভস্কি ইস্যুতে লাপোর্তা বলেছেন সামান্যই। অন্য ক্লাবের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা এড়াতেই হয়ত নয়া ছক তার।
‘লেভান্ডোভস্কি এখনো বায়ার্নের খেলোয়াড়। এই পরিস্থিতিতে আমি শান্ত থাকতে পছন্দ করি। সবাই জানে সে একজন দুর্দান্ত ফুটবলার। আমরা সত্যিই খুশি যে বার্সায় যোগ দিতে চায়। তবে বায়ার্ন মিউনিখের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা রয়েছে, এটি বিশ্বের অন্যতম সেরা ক্লাব।’