‘বক্সিং ডে’ টেস্টে শান্তির প্রতীক ‘পায়রা’ খচিত জুতা ও ব্যাট নিয়ে মাঠে নামার অনুমতি চেয়েছিলেন উসমান খাজা। ইসরায়েলের অভিযানের শিকার ফিলিস্তিনের জনগণের প্রতি সমর্থনে চাওয়া অজি তারকার সেই আবেদনে সাড়া দেয়নি আইসিসি। তবে সতীর্থের পাশেই থাকছেন প্যাট কামিন্স, খাজার প্রতি সমর্থনের কথা প্রকাশ্যেই বলেছেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক।
এমসিজিতে অজিরা অনুশীলনের সময় বুধবার ব্যাটে ও জুতায় শান্তির প্রতীক পায়রা ও ‘01: UDHF’ লেখা স্টিকার লাগিয়েছিলেন খাজা। ‘সব মানুষ মুক্ত ও স্বাধীন হিসেবে জন্মগ্রহণ করে এবং মর্যাদা ও অধিকারেও তারা সমান’- আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ঘোষণার রেফারেন্স হিসেবে ‘01: UDHF’ সংকেতটা ব্যবহৃত হয়।
অন্যদিকে, অজিদের আরেক ব্যাটার মার্নাশ লাবুশেন প্রবল ধর্মানুরাগী ও তার ব্যাটের পেছনে একটি ঈগলের প্রতীক রয়েছে। বাইবেল অনুযায়ী এটিও একটি শান্তির প্রতীক। এক্ষেত্রে আইসিসির অনুমতি নিয়েই দীর্ঘদিন ধরে স্টিকারটি ব্যবহার করছেন লাবুশেন। তিনি পারলে খাজা কেন পারবেন না, এই প্রশ্ন দলটির অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের।
পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট শুরুর আগেরদিন সোমবার বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেন কামিন্স। খ্রিষ্টানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বড়দিনে ধর্মীয় কিছুর প্রদর্শন এবং খাজার মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণার উল্লেখ করে লোগো প্রদর্শনের চেষ্টার মাঝে কোনো পার্থক্য দেখছেন না তিনি।
‘আমরা সত্যিই উজিকে সমর্থন করি। আমি মনে করি সে যা বিশ্বাস করে, তার জন্য অবস্থান নিয়েছে এবং সত্যিই সম্মানের সাথেই তা করছে। সকল জীবন সমান এবং আমি মনে করি না যে এটা প্রদর্শন খুব আপত্তিকর। আমি পায়রা প্রদর্শনের ব্যাপারেও একই কথা বলতে চাই।’
‘খাজা এমনই, সে তার মাথা উঁচু রাখতে পারে। কিন্তু কিছু নিয়ম রয়েছে। তাই আইসিসি বলেছে যে তারা এটি অনুমোদন করছে না। তারা নিয়ম তৈরি করে এবং আপনাকে তা মেনে নিতে হবে।’
গত শুক্রবার এমসিজিতে বক্তৃতায় খাজা বলেছিলেন, তিনি বিশ্বাস করেন না যে আইসিসি তাদের নিজস্ব নিয়মগুলো ধারাবাহিকভাবে প্রয়োগ করছে।
এর আগে পার্থ টেস্টে কালো আর্মব্যান্ড পরায় খাজা আইসিসির প্লেয়িং কন্ডিশনের পোশাক ও সরঞ্জাম নিয়মের ‘এফ’ ধারা ভঙ্গ করেছেন বলে অভিযোগ তোলে সংস্থাটি। যার শাস্তি হিসেবে তাকে তিরস্কার করেছিল আইসিসি।
তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজে প্রথমটির আগে অনুশীলনে বিশেষ জুতা পরে নেমেছিলেন অজিদের টপঅর্ডার ব্যাটার খাজা। জুতায় লেখা ছিল- ‘সব প্রাণই সমান’, ‘স্বাধীনতা সকল মানুষের অধিকার’। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গাজার পক্ষে খাজার সেই বার্তা ছড়িয়ে পড়লে ‘রাজনৈতিক বক্তব্যের’ আইন দেখিয়ে তা মাঠে প্রদর্শন নিষিদ্ধ করে আইসিসি।