পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া চলতি বিশ্বকাপে টানা দুই ম্যাচে বড় ব্যবধানে হেরে সেমিফাইনালে ওঠার সমীকরণ জটিল করে তুলেছে। ভারতের বিপক্ষে ৫২ বল বাকি থাকতে অজিরা ৬ উইকেটে হারে। সাউথ আফ্রিকার বোলারদের ঝড়ে রীতিমত বিধ্বস্ত হয়েছে প্যাট কামিন্সের দল। বরণ করেছে ১৩৪ রানের বড় পরাজয়।
লক্ষ্ণৌতে প্রোটিয়ারা ৭ উইকেটে ৩১১ রানের সংগ্রহ পায়। জবাবে নেমে ৪১.৫ ওভারে ১৭৭ রানে গুটিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। কোনো অজি ব্যাটার ফিফটির দেখা পাননি। সর্বাধিক ৪৬ রানের ইনিংস খেলেন মার্নাস লাবুশেন।
ম্যাচের পর হতাশা লুকানোর চেষ্টা লাবুশেন অবশ্য করেননি। অ্যাশটন অ্যাগারের চোটে শেষ মুহূর্তে বিশ্বকাপ দলে জায়গা পাওয়া ২৯ বর্ষী ব্যাটার অবশ্য এখনই হাল ছাড়তে নারাজ।
‘আমরা এমন পারফরম্যান্সের জন্য হতাশ হতে পারি। অনেক কিছু নিয়ে হতাশ হতে পারি। কিন্তু বাস্তবতা হলো আপনি চেঞ্জিং রুমে বসে থাকতে পারবেন না। আমাদের পদক্ষেপ নিতে হবে এবং টুর্নামেন্টে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।’
‘তিন দিনের মধ্যে আমরা শ্রীলঙ্কাকে লক্ষ্ণৌতেই পাচ্ছি। পয়েন্ট পদ্ধতি কীভাবে কাজ করে, সেটা জানি। এখান থেকে সেরা চারের কাছাকাছি যেতে আমাদের প্রতিটি ম্যাচ জিততে হবে। অস্ট্রেলিয়া পাঁচবার বিশ্বকাপ জিতেছে। কারণ আমরা চাপের মধ্যে ভালো খেলি। শুরুটা ভালো করিনি, কিন্তু এটাই শেষ নয়।’
সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে অসহায় আত্মসমর্পণ প্রসঙ্গে বিন্দুমাত্র অজুহাত দিতে নারাজ লাবুশেন। অপ্রত্যাশিত বাজে ফিল্ডিংয়ের বিষয়টিও তিনি স্বীকার করলেন।
‘আমরা অস্ট্রেলিয়ার হয়ে বিশ্বকাপ খেলছি। আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে এবং এর চেয়ে ভালো পারফরম্যান্স হতে হবে।’
‘বিশ্বের সেরা ফিল্ডিং দলগুলোর একটি হিসেবে আমরা নিজেদের নিয়ে গর্ব করি। আজকে ফিল্ডিং ঠিকঠাক করতে পেরেছি বলে মনে হয় না। সুযোগ তৈরি করেছি এবং সেগুলো কাজে লাগাতে পারিনি। দুর্দান্ত পারফরম্যান্স ছিল না। আমাদের ফিরে আসতে হবে।’