ল্যাবএইড ক্যান্সার হাসপাতাল এন্ড সুপার স্পেশালিটি সেন্টার। তহবিল সংগ্রহের জন্য শেয়ার বাজারে আসার পরিকল্পনা করছে হাসপাতালটি। ১৯৯৭ সালে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের তালিকাভুক্ত সমরিতা হাসপাতালের পর এটি হবে পাবলিক শেয়ারের অন্তর্ভুক্ত হওয়া দ্বিতীয় কোন হাসপাতাল।
ক্যান্সার চিকিৎসায় আধুনিক সুযোগ সুবিধা নিয়ে রাজধানীর গ্রিন রোডে চালু হয়েছে ল্যাবএইড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের এই অঙ্গপ্রতিষ্ঠান।
প্রতিষ্ঠানটি শেয়ার বাজারে আসতে ইতিমধ্যেই সিটি ব্যাংক ক্যাপিটালের সাথে একটি কর্পোরেট অ্যাডভাইজরি এবং ইস্যু ম্যানেজমেন্ট চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। সিটি ব্যাংক ক্যাপিটাল হাসপাতালের প্রস্তাবিত প্রাথমিক পাবলিক অফারিং এর জন্য ইস্যু ব্যবস্থাপক হিসাবেও কাজ করবে।
নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে সাক্ষর করেন সিটি ব্যাংক ক্যাপিটালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও সিইও এরশাদ হোসেন ও ল্যাবএইড ক্যান্সার হাসপাতাল এন্ড সুপার স্পেশালিটি সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সাকিফ শামীম।

সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এরশাদ হোসেন বলেন, স্বাস্থ্যসেবা খাতে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে প্রচুর মূলধন প্রয়োজন এবং শেয়ার বাজার থেকে তা সরবরাহ করার সুযোগ রয়েছে। তাই ক্যান্সার হাসপাতাল শেয়ার বাজার থেকে তহবিল সংগ্রহের পরিকল্পনা করছে।
তিনি আরও বলেন, ল্যাবএইড ক্যান্সার হাসপাতালের ব্যাপক প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। তাই সিটি ব্যাংক ক্যাপিটাল তাদের সাথে কাজ করতে আগ্রহী হয়েছে।
ল্যাবএইড ক্যান্সার হাসপাতাল এন্ড সুপার স্পেশালিটি সেন্টার: হাসপাতালটি বাংলাদেশের সর্বপ্রথম ক্যান্সারকেন্দ্রিক স্বাস্থসেবা প্রতিষ্ঠান। হাসপাতালের ওয়েবসাইট অনুসারে, হাসপাতালের ১৪ তলা আধুনিক ভবনে রোগীদের জন্য ১৫০ টিরও বেশি শয্যা, জরুরি সুবিধা, আইসিইউ ইউনিট, ডায়ালাইসিস এবং উপশমকারী সেবা রয়েছে।
এছাড়াও এতে কেমোথেরাপি, রেডিওথেরাপি, ব্র্যাকিথেরাপি, ইমিউনোথেরাপি এবং হরমোনোথেরাপির সুবিধা রয়েছে এবং ক্যান্সার নির্ণয়ের জন্য ডেডিকেটেড আধুনিক ল্যাবরেটরি রয়েছে।
ল্যাবএইড ক্যান্সার হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাকিফ শামীম বলেন, ল্যাবেইড প্রায় ৩৫ বছরের পুরানো একটি প্রতিষ্ঠান এবং এটির একটি সুনাম রয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানের প্রাথমিক বিনিয়োগ ছিল ৫০০ কোটি টাকা।
হাসপাতালটি রোগীকেন্দ্রিকতা এবং নৈতিকতার চেতনায় স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ল্যাবএইডের ৩০ বছরের আস্থা এবং স্বাস্থ্যসেবায় আধুনিকতার নেতৃত্ব নিয়ে এই হাসপাতালটি বাংলাদেশের সার্বিক ক্যান্সার চিকিৎসা ও যত্নে আমূল পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে বলে জানান তিনি।