সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে আধিপত্য দেখিয়েও গোলের দেখা পাচ্ছিল না রিয়াল মাদ্রিদ। বল নিয়ন্ত্রণ, শট নেয়ার পরিমাণে অনেকটা এগিয়ে থাকলেও জালের দেখা পাচ্ছিল না। অ্যান্টনিও রুডিগারের হেডে ভাঙে ডেডলক। অপেক্ষাকৃত দুর্বল দল মায়োর্কার বিপক্ষে ১-০ গোলের জয়ে লা লিগার টেবিলের শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে কার্লো আনচেলত্তির দল।
চলতি মৌসুমের চমক জিরোনার রূপকথার যাত্রা অব্যাহত রয়েছে। অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে ৪-৩ গোলের জয়ে দলটি টেবিলের দুই নম্বরে অবস্থান করছে। হ্যাটট্রিক পেয়েও অ্যাটলেটিকোর হার এড়াতে পারেননি আলভারো মোরাতা।
১৯ ম্যাচে ১৫ জয় ও ৩ ড্রয়ে ৪৮ সমান পয়েন্ট পেয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ ও জিরোনা। গোল ব্যবধানে এগিয়ে থাকা লস ব্লাঙ্কোসরা টেবিলের শীর্ষে। অ্যাটলেটিকো ১২ জয় ও ২ ড্রয়ে ৩৮ পয়েন্ট নিয়ে তিনে। এক ম্যাচ কম খেলা বার্সেলোনা সমান পয়েন্ট পেলেও গোল পার্থক্যে পিছিয়ে থাকায় চতুর্থ স্থানে আছে।
বুধবার রাতে ঘরের মাঠে ৬৭.২ শতাংশ সময় রিয়াল বল নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখে নেয় মোট ১৭টি শট। লক্ষ্য বরাবর ৫টি শট নিতে সক্ষম হয়। মায়োর্কা ৭টি শট নিতে পারলেও তার মধ্যে একটিও পোস্ট বরাবর ছিল না।
গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর স্বাগতিকরা ৭৮ মিনিটে পায় স্বস্তির গোল। লুকা মদ্রিচের কর্নার কিকে উড়ে আসা বলে মাথা ছুঁইয়ে লক্ষ্যভেদ করেন জার্মান ডিফেন্ডার রুডিগার।
এদিকে, ঘরের মাঠ মিউনিসিপাল ডি মন্টিলিভিতে দুরন্ত ফুটবল উপহার দেয় জিরোনা। আক্রমণ পাল্টা আক্রমণে ঠাঁসা জমজমাট ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই ডান পায়ের দূরপাল্লার শটে স্বাগতিকদের এগিয়ে দেন ভ্যালেরি ফার্নান্দেজ। ১৪ মিনিটে অ্যান্টনিও গ্রিজম্যানের হেড পাসে বল নিয়ে অ্যাটলেটিকোকে সমতায় ফেরান মোরাতা।
২৬ মিনিটে স্যাভিও ও ৩৯ মিনিটে ডেলি ব্লাইন্ডের নিশানাভেদে জিরোনার পক্ষে স্কোরলাইন দাঁড়ায় ৩-১। বিরতির আগমুহূর্তে ৪৪ মিনিটের মাথায় মোরাতা ব্যবধান কমান।
রদ্রিগো ডে পলের বাড়ানো বলে ডান পায়ের শটে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন মোরাতা, দুই গোলে পিছিয়ে পড়েও দারুণভাবে খেলার ফেরে অ্যাটলেটিকো। রোমাঞ্চ ছড়ানো ম্যাচের অন্তিম লগ্নে যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে ইভান মার্টিন বাঁ-পায়ের শটে বল জালে জড়ালে জিরোনা পায় দুরন্ত এক জয়।