লা লিগায় পয়েন্ট টেবিবের শীর্ষে থাকা বার্সেলোনার সঙ্গে পয়েন্টের ব্যবধান কমিয়ে আনার সুযোগ হাতছাড়া করেছে রিয়াল মাদ্রিদ। একের পর এক আক্রমণের ঝড় তুলেও রিয়াল সোসিয়েদাদের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ে কার্লো আনচেলত্তির দল।
১৮ ম্যাচে ৪২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দুইয়ে রিয়াল মাদ্রিদ। সমান ম্যাচে ৫ পয়েন্ট বেশি নিয়ে শীর্ষে বার্সেলোনা। এক ম্যাচ বেশি খেলে ৩৯ পয়েন্ট পাওয়া সোসিয়েদাদ তিনে অবস্থান করছে।
প্রায় একই সময়ে মাঠে গড়ানো ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ানের খেলায় রেইমসের বিপক্ষে শেষ মুহূর্তে গোল হজম করে জয়বঞ্চিত হয়েছে পিএসজি। ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র গোলেও পিএসজি ২০ ম্যাচে ৪৫ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষস্থানটা ধরে রেখেছে।
রোববার রাতে ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ৬১ শতাংশ সময় বলের দখল রাখা রিয়াল ২০ বার শট নেয়, যার ভেতর ৭টিই ছিল লক্ষ্য বরাবর। পক্ষান্তরে, সোসিয়েদাদ ৮টি শটের ভেতর তিনটি লক্ষ্য বরাবর রাখতে পেরেছিল।

সোসিয়েদাদ গোলরক্ষক অ্যালেক্স রেমিরো মূলত ম্যাচ ড্রয়ের নায়ক। প্রতিপক্ষের সাতটি শট প্রতিহত করে তিনি জাল অক্ষত রাখেন।
খেলার ১৪ মিনিটে ভিনিসিয়াস জুনিয়রের দুরহ কোণ থেকে নেয়া কোনাকুনি শটে পোস্ট ঘেঁষে বল বাইরে চলে যায়। ৩২ মিনিটে টনি ক্রুসের দূরপাল্লার শট ঠেকান রেমিরো। মিনিট তিনেক পর করিম বেনজেমার শটও প্রতিহত করেন প্রতিপক্ষের গোলরক্ষক। তিনি বিরতির খানিক আগে ভিনিসিয়াসের আরেকটি শটও ঠেকিয়ে দেন।
দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম মিনিটেই দানি সেবালোসের কিক ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক। ৪৯ মিনিটে ভিনিসিয়াসকে আবারো হতাশ করেন রেমিরো। ৬৭ মিনিটে তিনি ফিরিয়ে দেন এডের মিলিতাওয়ের নেয়া হেড। চার মিনিট পর দারুণ ছন্দে থাকা ভিনিসিয়াসের ডান পায়ের শট রেমিরোর জন্য জাল খুঁজে পায়নি।
অপরদিকে, পার্ক ডে প্রিন্সেসে হওয়া লিগ ওয়ানের খেলায় রেইমসের বিপক্ষে প্রথমার্ধ গোলশূন্যভাবে পিএসজি শেষ করে। ৫১ মিনিটের মাথায় জুয়ান বের্নাটের বাঁ পায়ের শটে বল জালে জড়িয়ে আসরের বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের এগিয়ে দেন নেইমার।
আট মিনিট পর মার্কো ভেরাত্তি লাল কার্ড দেখলে দশজনের দলে পরিণত হয় পিএসজি। ৬৫ মিনিটে লিওনেল মেসির বাড়ানো বল পেয়ে আশরাফ হাকিমি গোল করলেও অফসাইডে তা বাতিল হয়।
খেলার অন্তিম মুহূর্তে যোগ করা সময়ের ষষ্ঠ মিনিটে মালি জাতীয় দলের মিডফিল্ডার কামোরি ডুম্বিয়ার কাছ থেকে বল নিয়ে ডান পায়ে নিশানাভেদ করেন আর্সেনাল থেকে ধারে রেইমসে খেলতে আসা স্ট্রাইকার ফোলারিন বালোগুন। এতে জয় না পাওয়ার হতাশাত পুড়তে থাকে মেসি-নেইমার-এমবাপেরা।