মোশাররফ হোসেন: কুয়েতের স্থানীয় নাগরিকদের চেয়ে প্রবাসীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় কোনো সাধারণ ক্ষমা দেখা যাচ্ছে না, এমনটি জানিয়েছে দেশটি। ২০২০ সালের আগে অবৈধভাবে বসবাসকারীদের জন্য অবস্থা সংশোধন পর্যালোচনা করার সিদ্ধান্ত চলছে। যদি এটি অকার্যকর বলে প্রমাণিত হয়, তাহলে আনুষ্ঠানিকভাবে বাতিল করা হবে।
স্থানীয় গণমাধ্যম সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানান, ২০২০ সালের ১ মার্চের আগে কুয়েতে অবৈধভাবে বসবাসকারী রেসিডেন্সি আইন, লঙ্ঘনকারীদের নির্ধারিত আইনী ৬০০ দিনার জরিমানা দেওয়ার পরে তাদের অবস্থা নিয়মিত করার অনুমতি দেওয়া শুরু করে। আইনী কাঠামো পরিবর্তন হলে শুধু ফি প্রদান নয়, নির্বাসনের খরচ ও অন্তর্ভুক্ত রাখার কথা জানান।
ইতিমধ্যে দেশটির পরিসংখ্যান বিভাগের সাম্প্রতিক সরকারি নথি প্রকাশ করেছে। নথিতে কুয়েতে স্থানীয় নাগরিকের ১.৫ মিলিয়নে পৌঁছেছে এবং প্রবাসীরা দেশটির মোট জনসংখ্যার দুই তৃতীয়াংশের বেশী। ভারতের নাগরিক ৩১ শতাংশ, মিশর ২০.৮ শতাংশ, বাংলাদেশী ৮.৭ শতাংশ। ফিলিপাইন ৬.৬ শতাংশ, পাকিস্তান ৩.৪ শতাংশ, শ্রীলংকা ২.৯ শতাংশ, নেপাল ২.৬ শতাংশ।
কুয়েতের স্থানীয় গণমাধ্যম কুয়েত টাইমসের তথ্যমতে, দেশটিতে মোট বাংলাদেশী জনসংখ্যা দুই লাখ একাশি হাজার।