হাতে মাত্র ১৮ বল, প্রয়োজন ৪৮ রান। আঠারতম ওভার করতে আসা শাহিন আফ্রিদির প্রথম বলটা ডিপ মিড উইকেটের উপর দিয়ে উড়িয়ে মারলেন বিরাট কোহলি। এক ড্রপে বাউন্ডারি দড়ির ওপারে, পেলেন ফিফটি। তাই বলে এমন বাঁধভাঙা উল্লাস! ১১১ আন্তর্জাতিক ইনিংসে আগেও এমন ৩৪বার উল্লাসের সুযোগ ছিল, কিন্তু মেলবোর্নের উদযাপন হয়ে থাকল চোখে পড়ার মতই! ম্যাচ অবশ্য তখনও বহু দূরের পথ।
এমন উদযাপন, এরকম আগ্রাসনের কারণ কি হতে পারে? পেন্ডুলামের মতো দুলতে থাকা ম্যাচে পাকিস্তানকে নাকের জলে চোখের জলে করে জিতেছে ভারত। উত্তেজনাকর ম্যাচের নায়ক কোহলি এমন জয়ে নিজেও বাকরুদ্ধ— ‘এও সম্ভব, এটাও করে ফেললাম।’
ম্যাচসেরার পুরস্কার নিতে এসে কোহলি জানিয়েছেন শেষ তিন ওভারের প্লান। হার্দিককে নিয়ে পরিকল্পনায় সফল হওয়ার পর বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না, ‘সত্যি বলতে আমি বাকরুদ্ধ। আমার বিশ্বাস হচ্ছে না, কিভাবে জিতলাম। হার্দিক বলছিল, বিশ্বাস রাখেন, আমরা শেষ করে আসতে পারব। আমি ভাষা হারিয়ে ফেলেছি।’
শেষ ৩ ওভারে ৪৮ রান প্রয়োজন, পাকিস্তানের তখনও বাকি হারিস রউফ ও শাহিন আফ্রিদির ওভার। নানা নাটকীয়তা, মোড় ঘোরা ম্যাচে শেষে নায়কের বেশে ফিরেছেন কোহলি। মেলবোর্নে ১৬০ রানের লক্ষ্যে নেমে ভারত জিতেছে ৪ উইকেটে, ইনিংসের শেষ বলে।
দ্রুত চার উইকেট হারানো ভারতকে পঞ্চম উইকেট জুটিতে ১১৩ রান এনে দেন কোহলি-পান্ডিয়া। ৩৭ বলে ৪০ রান করে পান্ডিয়া ফিরলে শুরু হয় আরেক নাটক। শেষ ওভারের সেই উত্তেজনাকর ওভারে নো বল, ছক্কা, ওয়াইড, ফ্রি-হিটে কোহলি বোল্ড হওয়ার পর দৌড়ে তিন রান, সব ছাপিয়ে ভারতের জয়ের উল্লাস।
টি-টুয়েন্টিতে সময়ের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার দীর্ঘ ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা ইনিংসের জায়গাও দিচ্ছে পাকিস্তানের বিপক্ষে এই ফিফটিকে। কোহলি বলেছেন, ‘আজ পর্যন্ত নিজের টি-টুয়েন্টির সেরা ইনিংসের কথা আসলে টানতাম মোহালির কথা। সেদিন করেছিলাম ৫২ বলে ৮২, আজ পেলাম ৫৩ বলে ৮২ রান। দুটোই স্পেশাল।’