
জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণ করে চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)৷ গেল ফেব্রুয়ারিতে সীমানা নির্ধারণের খসড়া প্রকাশ করে ইসি। পরে এই খসড়ার উপর আপত্তি গ্রহণ করে এবং শুনানি করে। শুনানি শেষে আপত্তি যাচাই-বাছাই করে পহেলা জুন চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করে ইসি। এতে করে ১০টি সংসদীয় আসনের সীমানায় পরিবর্তন হয়েছে।
পিরোজপুর-১ আসন আগে পিরোজপুর সদর, নাজিরপুর ও নেছারাবাদ উপজেলা নিয়ে গঠিত ছিল। এই আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণ করে নেছারাবাদ উপজেলা বাদ দিয়ে ইন্দুরকানী উপজেলা যুক্ত করা হয়েছে। ইন্দুরকানী উপজেলা আগে পিরোজপুর-২ আসনের অংশ ছিল। অন্যদিকে নেছারাবাদ উপজেলা পিরোজপুর-২ সংসদীয় আসনের সাথে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড গাজীপুর-২ আসনের সাথে যুক্ত করা হয়েছে। আগে এই ওয়ার্ড গাজীপুর-৫ সংসদীয় আসনের সাথে অন্তর্ভুক্ত ছিল।
ফরিদপুর-২ আসন থেকে সদরপুর উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়ন বাদ দেয়া হয়েছে৷ পূর্বে ফরিদপুর-৪ আসনে এই ইউনিয়ন বাদে সদরপুর উপজেলা ছিল, এখন পুরো সদরপুর উপজেলা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

কুমিল্লা-১ আসন থেকে মেঘনা উপজেলাকে বাদ দেয়া হয়েছে। অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে তিতাস উপজেলাকে। কুমিল্লা-২ সংসদীয় আসনে যুক্ত করা হয়েছে মেঘনা উপজেলাকে।
নোয়াখালী-২ সংসদীয় আসন আগে সেনবাগ উপজেলা ও সোনাইমুড়ী উপজেলার বারগাঁও, নাটেশ্বর ও আম্বর নগর নিয়ে গঠিত হয়েছিল। এবার এই তিন ইউনিয়ন ছাড়াও সোনাইমুড়ী উপজেলার বজরা ইউনিয়নকে নোয়াখালী-২ আসনে যুক্ত করা হয়েছে।