তামিম, মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহ’র দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে খুলনার সামনে বড় সংগ্রহ দাঁড় করেছিল ফরচুন বরিশাল। তবে এনামুল হক বিজয় ও এভিন লুইসের জোড়া ফিফটিতে তা পেরিয়ে গেছে খুলনা টাইগার্স। ১৮৭ রান তাড়া করে ৮ উইকেটের বড় জয় পেয়েছে রূপসা পাড়ের দলটি। এ নিয়ে আসরে টানা দ্বিতীয় জয় পেল তারা। এর আগে প্রথম ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে হারিয়েছে খুলনা।
সোমবার দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে টসে জিতে বরিশালকে ব্যাটে পাঠান খুলনার অধিনায়ক এনামুল হক বিজয়। তামিমের ৪০, মুশফিকের ফিফটি ও মাহমুদউল্লাহ’র ঝড়ো ক্যামিওতে নির্ধারিত ওভার শেষে ৪ উইকেটে ১৮৭ রানের সংগ্রহ পায় বরিশাল। জবাবে নেমে বিজয়-লুইসের ফিফটি ও আফিফের অনবদ্য ব্যাটিংয়ে ১৮ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে নোঙর করে খুলনা।
বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে খুলনাকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার এভিন লুইস ও এনামুল হক বিজয়। উদ্বোধনী জুটিতে ৭৭ রান তোলেন তারা। ৫.২ ওভারে ২১ বলে ফিফটি পূর্ণ করেন লুইস। ছিল পাঁচটি করে চার ও ছক্কার মার। ওভারের পরের বলে মোহাম্মদ ইমরানের ডেলিভারি লেগে টেনে খেলতে গিয়ে টপ এজের শিকার হয়ে তালুবন্দি হন মুশফিকের। ২২ বলে ৫৩ রান করে ফিরে যান ক্যারিবীয় ব্যাটার।
দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে আফিফ হোসেনকে নিয়ে ৭৫ রান তোলেন বিজয়। ১৩.৩ ওভারে ফিফটি পূর্ণ করেন বিজয়। ৩৫ বলে ফিফটি ছোঁয়া ইনিংসে ছিল তিনটি চার ও দুটি ছক্কা।
১৫.১ ওভারে আফিফকে ফেরান ইমরান। তিন চার ও এক ছক্কায় ৩৬ বলে ৪১ রান করেন আফিফ। পরে সাই হোপের ১০ বলে ২৫ রানের ক্যামিওতে জয়ের বন্দরে নোঙর করে খুলনা। তার ইনিংসে ছিল পাঁচটি চারের মার। তিনটি করে চার ও ছক্কায় ৪৪ বলে ৬৬ রানে অপরাজিত থাকেন বিজয়।
বরিশালের হয়ে মোহাম্মদ ইমরান নেন দুটি উইকেট।
এর আগে ব্যাটে নেমে শুরুটা অবশ্য খুব একটা ভালো হয়নি বরিশালের। ৩.৪ ওভারে দলীয় ১৪ রানে প্রথম উইকেট হারায় দলটি। ১৬ বলে ১১ রান করে ফিরে যান ইব্রাহিম জাদরান। এরপর ঝড় তোলেন তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার। ২২ বলে ৪৬ রানের জুটি গড়েন তারা। ৭.২ ওভারে দলীয় ৬০ রানে সৌম্য ফিরে যান রানআউট হয়ে। তার আগে দুই চার ও এক ছক্কায় করেন ১০ বলে ১৭ রান।
এরপর মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে ৩৭ বলে ৫৭ রান তোলেন তামিম ইকবাল। ১৩.৩ ওভারে দলীয় ১১৭ রানে ফিরে যান তামিম। পাঁচ চারে ৩৩ বলে ৪০ রান করেন তামিম। অনবদ্য এই ইনিংস খেলে একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে বিপিএলে নিজের ৩০০০ রান পূর্ণ করেছেন তামিম ইকবাল। এর জন্য অবশ্য ৯১ ম্যাচে ব্যাট করেছেন ৯০ ইনিংসে। ২৫টি ফিফটির পাশাপাশি রয়েছে দুটি সেঞ্চুরিও
পরে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে নিয়ে ঝড় তোলেন মুশফিক। ১৬তম ওভারে ৩২ বলে ফিফটি পূর্ণ করেন তিনি। ১৮.৩ ওভারে দলীয় ১৭১ রানে মাহমুদউল্লাহ ফিরে যান। দুটি করে চার ও ছক্কায় ১৯ বলে করেন ১৭ রান।
এরপর শোয়েব মালিককে নিয়ে ইনিংস শেষ করেন মুশফিকুর রহিম। পাঁচটি চার ও চারটি ছক্কায় ৩৯ বলে ৬৮ রান করেন মুশফিক। আর শোয়েব করেনে ৬ বলে ৫ রান।
খুলনার হয়ে ওশান থমাস নেন দুটি উইকেট। এছাড়া নাসুম আহমেদ ও মুকিদুল ইসলাম অঙ্কন নেন এক উইকেট।