
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি প্রধান বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়ে প্রচলিত আইনে সরকারের কিছু করার নেই। আইন অনুযায়ী আদালতের দ্বারস্থ হয়ে নির্দেশনা মেনে তার চিকিৎসা করাতে হবে।
আজ রোববার ১ অক্টোবর রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের দলীয় কার্যালয়ে ঢাকা ও বিভিন্ন অঞ্চলের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যদের যৌথসভা শেষে তিনি এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা খালেদা জিয়ার বিষয়ে সংবেদনশীল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খালেদা জিয়ার বিষয়ে সর্বোচ্চ উদারতা দেখিয়েছেন। তিনি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। ভয়েস অব আমেরিকায় প্রধানমন্ত্রীর দেয়া সাক্ষাৎকারে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য তুলে ধরে তিনি বলেন, সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী যে কথা বলেছেন তাতে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়টি পরিষ্কার হয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি’র উচিত কথার সীমারেখা মানা। তিনি বলেন, আ স ম আব্দুর রবও একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন। খালেদা জিয়ার প্রসঙ্গে আ স ম আব্দুর রব উদাহরণ হতে পারেন না। হাজী সেলিমও কিন্তু আইনের বাইরে যাওয়ার সুযোগ পাননি।

আওয়ামী লীগ শূন্যে ভেসে, হাওয়ায় উড়ে কিংবা বন্দুকের নল উঁচিয়ে ক্ষমতায় বসেনি উল্লেখ করে তিনি বলেন, গত ১৫ বছরে অনেকবার বিএনপির হাঁকডাক শোনা গেছে। বিএনপি বিভিন্ন সময় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের আসন নিয়ে তিরস্কার করে সমালোচনা করেছিল যা ছিল বিএনপির অহংকার, দম্ভ। যারা আওয়ামী লীগের পতন দেখছে তাদের নিজেদের পতন হয় কি না সেটাই এখন দেখার বিষয়।
ওবায়দুল কাদের এ সময় দ্বাদশ নির্বাচনকে সামনে রেখে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, ৩ অক্টোবর সাভারের আমিন বাজারে মহাসমাবেশ। এছাড়া ৭ অক্টোবর বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল উদ্বোধন, ১০ অক্টোবর পদ্মাসেতুর রেলসেতুর উদ্বোধন, মেট্রোরেলের মতিঝিল অংশ উদ্বোধন এবং ২৮ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু টানেলের উদ্বোধন উপলক্ষ্যে আওয়ামী লীগের সুধী সমাবেশ।
বিজ্ঞাপন