২০২৩ সালের এপ্রিলে বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দলের মিয়ানমারে অলিম্পিক বাছাইয়ের ম্যাচে অংশ নিতে না পারা নিয়ে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছিল বাফুফে। আর্থিক সংকটে দল না পাঠানোর বিষয়টি জানিয়েছিলেন ফেডারেশন সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। সেদিন বিসিবি সভাপতিকে খানিকটা খোঁচা দিয়ে কথা বলেন কাজী সালাউদ্দিন। বিষয়টি তখন ক্রীড়াঙ্গনের আলোচনার ঝড় তোলে।
অতীত সেই তিক্ততাকে পাশ কাটিয়ে গত ডিসেম্বরের শেষদিকে বাইপাস সার্জারি করানো কাজী সালাউদ্দিনকে দেখতে তার বাসায় যান ক্রীড়ামন্ত্রী। আন্তরিকভাবেই একে অন্যের সঙ্গে খোলামেলা আলাপও করেন। পরে বেরিয়ে এসে সাংবাদিকদের সামনে বিস্তারিত তুলে ধরেন নাজমুল হাসান পাপন।
বারিধারা ডিপ্লোমেটিক জোনে অবস্থিত বাফুফে সভাপতির বাসায় মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে যান ক্রীড়ামন্ত্রী। পরে সেখান থেকে বেরিয়ে অতীতের সেই ঘটনা নিয়ে স্পষ্টভাবেই নিজের মনোভাব তুলে ধরেন।
‘এত বছরের সম্পর্ক ওই একদিনের কথায় তো আর নষ্ট হয় না। ছোটবেলা থেকে মাঠে যেতামই তো উনার খেলা দেখতে। এটা তো অস্বীকার করার কোনো পথ নেই। উনার মতো কিংবদন্তি ফুটবলার বাংলাদেশে আর নেই। ছোটবেলা থেকেই বলতে গেলে মাঠে যেতাম খেলা দেখতে, উনার জন্য।’
‘অনেক সময় অনেক কথায় কষ্ট উনিও পেতে পারেন, আমি হতে পারি। একটা প্রতিক্রিয়া হল আর দেখালাম, সেটা ওখানেই শেষ। কিন্তু সম্পর্ক তো শেষ হয়নি।’
বাইপাস সার্জারির পর বাফুফে সভাপতির শারীরিক অবস্থা এখন কেমন, সেটি নিয়েও নাজমুল হাসান তার বক্তব্য রাখেন। তার ভাষ্য, ‘আমি তো আর ডাক্তার না। আমার কাছে দেখে মনে হচ্ছে আল্লাহর রহমতে উনি এখন খুব ভালো আছেন। অনেক সুস্থ আছেন। আমি প্রথমেই দেখে বললাম তাকে , হাঁটাচলা স্বচ্ছন্দেকরছেন। সেটাই দেখতে ভালো লেগেছে।’
‘তবে এত বড় সার্জারির পর রিহ্যাবের দরকার আছে। আরও কিছুদিন উনাকে রিহ্যাব করতে হবে। তারপর আমার মনে হয় তাকে আবার আগের মতো সব জায়গাতে দেখা যাবে।’
প্রায় ১০ মাস আগে বাফুফে ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিকের প্রশ্ন ছিল, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন ম্যাচ চলাকালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে নিয়মিত যোগাযোগ করেন। সেখানে ফুটবল ফেডারেশন সভাপতি কেন প্রধানমন্ত্রীর সাথে যোগাযোগ করেননি শুনতে হয়। এই দূরত্ব কেন ?
প্রশ্নের উত্তরে বাফুফে সভাপতি তখন বিসিবি সভাপতিকে খানিকটা খোঁচা দিয়ে বলেন, ‘সবার ব্যক্তিত্ব তো এক না। আমি তো লোক দেখিয়ে বলব না, এই প্রধানমন্ত্রী ফোন দিয়েছে। আমি ওই রকম না। আপনাদের বুঝতে হবে। আমি ফুটবল ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে এসেছি ; স্বাধীনতা থেকে আজ পর্যন্ত আছি। আমি ওই নাটক করতে পারব না। আমি প্রধানমন্ত্রীকে শ্রদ্ধা করি । আমি লোক দেখাতে পারব না। দুঃখিত, এটাই আমার চরিত্র।’