বৃহস্পতিবার রাত থেকেই ভারতীয় প্লাটফর্ম হইচইয়ে স্ট্রিমিং হচ্ছে দর্শকপ্রিয় ওয়েব সিরিজ ‘তাকদীর’ খ্যাত নির্মাতা সৈয়দ আহমেদ শাওকীর নতুন সিরিজ ‘কারাগার’। ‘তাকদীর’ এর মতো এই সিরিজেও নাম ভূমিকায় অভিনয় করছেন চঞ্চল চৌধুরী।
দুই বছর পর জনপ্রিয় এই জুটির রসায়ন নিয়ে রীতিমত হইচই! সবাই প্রশংসা করছেন ‘কারাগার’ এর পরিচ্ছন্ন নির্মাণের। গল্প বলার ভঙ্গি, দুর্দান্ত অভিনয়, ক্যামেরার কাজ, আবহ সংগীত, রঙ বিন্যাস থেকে শুরু করে সবকিছুই খুঁটিয়ে বিশ্লেষণ করে ‘কারাগার’ নিয়ে কথা বলছেন সবাই। বিশেষ করে এই সিরিজে চঞ্চল চৌধুরীর চরিত্র এবং তার অভিনয় নিয়ে মুগ্ধতার ফুলঝুরি!
প্রশংসা করছেন সহকর্মী তারকা শিল্পী থেকে সাধারণ দর্শক।‘কারাগার’ দেখে নিজেদের অনুভূতি জানিয়েছেন সুবর্ণা মুস্তাফা থেকে শুরু করে ছোট ও বড় পর্দার শিল্পী কলাকুশলী সহ সিনেবোদ্ধারাও।
‘কারাগার’ দেখে সুবর্ণা মুস্তাফা ফেসবুক পাতায় জানিয়েছেন, ‘কারাগার’ এর প্রথম পর্ব দেখে শেষ করেছেন। দ্বিতীয় পর্ব দেখার অপেক্ষায় তর হইছে না। সেই সঙ্গে চঞ্চল চৌধুরী ও ইন্তেখাব দিনারের অভিনয়ের প্রশংসা করেছেন। নির্মাতা শাওকীকে মেনশন করে জানিয়েছেন, সিরিজের প্রতি মুহূর্ত তিনি উপভোগ করেছেন। অবশ্য সুবর্ণা মুস্তাফার এমন প্রশংসায় মন্তব্যের ঘরেই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন শাওকী। সেই সঙ্গে প্রতিজ্ঞা করে জানান, ‘কারাগার’ এর দ্বিতীয় পর্বের জন্য খুব বেশি অপেক্ষা করতে হবে না!
চলচ্চিত্র ও গণমাধ্যম বিষয়ক লেখক, গবেষক এবং ছোটগল্পকার ফাহমিদুল হক নির্মাতা সৈয়দ আহমেদ শাওকীকে ‘লম্বা রেসের ঘোড়া’ উল্লেখ করে ‘কারাগার’ নিয়ে লিখেছেন, ‘একাত্তরের যীশুর পরে সম্ভবত এই আরেকবার খ্রিস্টান চরিত্র ও খ্রিস্টিয় মিথ কাহিনীর অনুষঙ্গ আকারে আসলো। তবে পার্ট ওয়ানের শেষে কেন যেন মনে হচ্ছে, পলাশীর যুদ্ধ নয়, ১৯৭১-ই ঘটনার প্রেক্ষাপট; মীরজাফর নয়, সম্ভবত রাজাকার প্রসঙ্গ আসবে। দ্বিতীয় বা পরের পার্টে এটা আবেগে গদগদ অতি জাতীয়তাবাদী ন্যারেটিভ যেন না হয়ে যায়, সেই দোয়া করছি। তাকদীরের পরে কারাগার দেখে মনে হলো শাওকী হলেন লম্বা রেসের ঘোড়া। চলচ্চিত্রের ভাষা তার দখলে।’
অভিনেত্রী শাহনাজ খুশি লিখেছেন,‘দেখলাম, তাকদীর খ্যাত ডিরেক্টর সৈয়দ শাওকীর,‘কারাগার’!একটানা দেখলাম! একবার উঠতে ইচ্ছা করেনি! নিমগ্ন হয়ে,শ্বাসরুদ্ধ করে দেখলাম! শাওকী ভাই, দুর্দান্ত! গল্প এবং গল্পের এগিয়ে যাবার গাঁথুনি,রহস্য পুরোটা মুগ্ধকর!
অভিনেত্রী তানভীন সুইটি কারাগার দেখে অভিভূত। বিশেষ করে চঞ্চল চৌধুরীর অভিনয়ের প্রশংসা করে এই অভিনেত্রী জানিয়েছেন,‘পুরা মাথা নষ্ট করে দিয়েছিস। কী দুর্দান্ত অভিনয়, আমি মুগ্ধ হয়ে দেখলাম। চরিত্রের মধ্যে ডুবে ছিলে, চোখ দিয়ে যে অভিনয় করা যায় সেটা দেখলাম। কী ভয়ঙ্কর অভিনয়! চঞ্চল চৌধুরীকে নিয়ে আমরা গর্বিত।’
অভিনেতা শতাব্দী ওয়াদুদ লিখেছেন,‘চমৎকার নির্মাণ! আর সবার অভিনয় দেখে আমি অভিভূত! আলাদা করে কার কথা যে বলি! বরকত হোসেন পলাশ এর ক্যামেরায় সিরিজটি চোখের আরাম নিয়ে দেখেছি! পুরো সিরিজটায় দুর্দান্ত টিম ওয়ার্কের ছায়া সুস্পষ্ট! সালেহ সোবহান অনীম তোমাকে ধন্যবাদ!
আকাশনগর সেন্ট্রাল জেলে ৩২৫ জন কয়েদী। একদিন হেড-কাউন্টের সময় দেখা গেল গোণার বাইরে একজন অতিরিক্ত কয়েদী। কয়েদী কম হলে চিন্তার বিষয়, বেশী হলে আরও চিন্তার বিষয়। কে এই কয়েদী? আর সে যে সেল কিনা গত ৫০ বছর ধরে বন্ধ, সেই ১৪৫ নাম্বার সেল এ কীভাবে এলো! এই রহস্যই উদঘাটনের সাথে উঠে এসেছে অন্য অনেকগুলো গল্প!
যেখানে প্রধান চরিত্রে চঞ্চল চৌধুরীর পাশাপাশি অভিনয় করেছেন আফজাল হোসেন, ইন্তেখাব দিনার, বিজরী বরকতউল্লাহ্, তাসনিয়া ফারিণ, এফ এস নাঈম, শতাব্দী ওয়াদুদ, জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, এ কে আজাদ সেতু সহ আরও অনেকে।