‘বেঞ্চের শক্তি আগে থেকেই জানি, এই প্রথম প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে পরখ করে দেখলাম। মেয়েরা খুবই ভালো খেলেছে। যে মানসিকতা দেখিয়েছে, তা অসাধারণ। গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, আমার যে খেলোয়াড়গুলো গত দুই ম্যাচ নিয়মিত খেলেছে, তাদেরকে বিশ্রাম দেয়া, ওই চেষ্টাই করেছি।’
মেয়েদের সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপে লিগপর্বের শেষ ম্যাচে নিয়মিত খেলোয়াড়দের ছাড়াই ভুটানকে ৪-০ গোলে হারানোর পর এ কথাগুলোই বলেন সাইফুল বারী টিটু। বাংলাদেশ কোচ দলের ফাইনাল আগেই নিশ্চিত হওয়ায় নিয়মিত খেলোয়াড়দের না খেলিয়ে শুরুর একাদশে এনেছিলেন নয়টি পরিবর্তন।
নিয়মিত খেলোয়াড়দের বিশ্রাম দেয়ার কথা ভারতের বিপক্ষে জিতে ফাইনালের টিকিট কাটার পরই জানিয়েছিলেন সাইফুল বারী টিটু। মঙ্গলবার ম্যাচ শেষের পরও তার কন্ঠে ছিল একই সুর। বললেন, ‘এক দিন পর পর ম্যাচ হলে শারীরিকভাবে শক্তি ফিরে আসার সময় পাওয়া যায় না। আমরা সেই শক্তি ফেরানোর কাজটা করিয়েছি।’
ভুটানের বিপক্ষে বেঞ্চের ফুটবলারদের নিয়ে হেসেখেলে জয় পাওয়া নিয়ে লাল-সবুজের দলের কোচের ভাষ্য, ‘মেয়েদের নিয়ে আমি খুবই গর্বিত। আজকে ওদের একটা কথাই বলেছি। অনুশীলনে যখন প্রান্তিরা (আফিদা) তোমাদের বিপক্ষে খেলে, তখন তোমরা যেটা দেখিয়েছ, সেটাই ভুটানের বিপক্ষে খেল এবং আমি জানি, তোমরা এটা পারবে। স্রেফ নিজেদের উপর বিশ্বাস রাখ, তোমরা পারবে।’
‘মেয়েদের বলেছিলাম, ভুটান কম গোল খেতে চাইবে, হয়তো এতো বেশি গোল দিতে চাইবে না। তো তাড়াহুড়োর কিছু নেই, গোলের জন্য তড়িঘড়ির দরকার নেই। স্রেফ বল পায়ে রাখ, ক্রসগুলো দাও, সুযোগ আসবে। ’
নেপালের বিপক্ষে গোল পাওয়া মিডফিল্ডার মুনকি আক্তার আবারো মাঠে চেনান নিজের জাত। শক্তিশালী ভারতের ফুটবলারদের সঙ্গে টক্কর দিয়ে রাখেন কার্যকরী ভূমিকা। তবে আজ তাকে মাঠে নামাননি কোচ। তার পরিবর্তে ফলস নাইন পজিশনে খেলা মিডফিল্ডার ঐশী খাতুন জোড়া গোল করে যেন দেখালেন সুযোগ পাওয়া মাত্র কীভাবে লুফে নিতে হয়। কোচের প্রশংসাটাও তাই আদায় করে নিলেন।
‘যে গোলগুলো হয়েছে এগুলো নিয়ে গর্ব করা যায়। কর্ণার থেকে হেড করে গোল দিয়েছে ঐশী। আমার কেন জানি মনে হল, এরা সুযোগ পেলে ভালো ফুটবলার হবে।’
আগামী বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় কমলাপুরে শিরোপা নির্ধারণী খেলায় মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও ভারত। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে হওয়া মেয়েদের সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম আসরেও দল দুটি শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে লড়েছিল। সেবার ফাইনালে ১-০ গোলে জিতে চ্যাম্পিয়ন হয় বাঘিনীরা।
প্রতিপক্ষকে নিয়ে টিটুর সাফ কথা, ‘ভারত কঠিন প্রতিপক্ষ। প্রথম ম্যাচটা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়েছে। ওদের সমীহ করতেই হবে। আসলে ফাইনাল হচ্ছে এমন যে শরীর চলবে না, কিন্তু মন চাইবে ভালো করতে। ভারত ক্লান্ত থাকলেও ওইভাবেই প্রস্তুতি নিয়ে আসবে। আমাদেরও ওইভাবে যেতে হবে। তবে ফাইনালটা যে কেউ জিততে পারে। আসলে সেরা দলকে হারিয়েই চ্যাম্পিয়ন হতে হয়।’