আগের দুই ম্যাচের দুটিতেই হেরে সমর্থকদের সমালোচনার বিদ্ধ হচ্ছিলেন ম্যানচেস্টার কোচ এরিক টেন হাগ। চলতি প্রিমিয়ার লিগে তৃতীয় ম্যাচে এসে জয় পেয়েছে তার দল। শক্তিশালী লিভারপুলকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়েছে টেন হাগ শিষ্যরা। দারুণ জয়ের পর সমর্থকদের ডাচম্যান জানিয়েছেন আমরা কেবল শুরু করেছি।
চিরচেনা ওল্ড ট্রাফোর্ডে এসে খোলস ছেড়ে বেরিয়েছে ম্যানচেস্টার। ম্যাচের শুরু থেকেই ভিন্ন এক ম্যানচেস্টারকে দেখেছে সমর্থকরা। ম্যাচের শুরুতে একাদশে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে রাখেনি টেন হাগ। তবে সে অভাব বুঝতে দেয়নি রাশফোর্ড-জাদোন সানচোরা। ম্যাচের ১৬ মিনিটে সানচোর গোলে ম্যাচে এগিয়ে যায় ম্যানচেস্টার।
এরপর ম্যাচে ফিরতে মরিয়া হয়ে চেষ্টা চালিয়েছে ইয়ূর্গেন ক্লপের দল। তবে ম্যানচেস্টারের রক্ষণদুর্গ ভেদ করা যায়নি। ম্যানচেস্টারও সামলে উঠে গোল করার একাধিক চেষ্টা চালিয়েছে কিন্তু গোল আসেনি। ফলে ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় ম্যানচেস্টার।
দ্বিতীয়ার্ধে নেমে ম্যাচে সমতায় ফিরতে আক্রমণে গতি আনে লিভারপুল। গোল আসেনি উল্টো পাল্টা আক্রমণে গিয়ে ৫৩ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন রাশফোর্ড। এরপর ম্যাচে রক্ষণদুর্গ আগলে রাখায় মনোযোগী হয় এরিক টেন। কাজও হয় তাতে। লিভারপুলের একাধিক আক্রমণ পণ্ড করে দেয় ম্যানচেস্টারের রক্ষণ।
ম্যাচের ৮১ মিনিটে মোহাম্মেদ সালাহ গোল করলে রোমাঞ্চ জাগার আভাস মিলে। কিন্তু অতটুকুই। ৮৬ মিনিটে রাশফোর্ডকে উঠিয়ে রোনালদোকে মাঠে নামায় এরিক টেন। তবে আর গোল আসেনি। ফলে ২-১ এ নির্ধারণ হয় ম্যাচের ভাগ্য।
‘রক্ষণভাগ ও গোলরক্ষক বেশ ভালো পারফর্ম করেছে। আমি দেখতে চেয়েছিলাম এই মাঠে তারা কেমন করে। দারুণ একটি দল দেখেছি। তাদের স্পিরিট ও ফুটবলারদের মধ্যে একটি সত্যিকারের সংযোগও দেখেছি। আমরা তাদের হারাতে পারি সেটা সমর্থকদের দেখিয়েছি। এটি একটি ভাল অনুভূতি। এখনও উন্নতির অনেক জায়গা রয়েছে। তবে আমি এখান থেকেই শুরু করতে চাই।’