যুবলীগের ৫০ বছর পূর্তি ও সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত যুব মহাসমাবেশ শুরুর আগেই রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নেতা-কর্মীদের ঢল নেমেছে।সমাবেশ যোগ দিতে এরই মধ্যে সেখানে পৌঁছে গেছেন হাজার হাজার নেতাকর্মী।

শুক্রবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশের আয়োজন উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা যুবলীগের হাজার হাজার নেতাকর্মী মিছিল-স্লোগানে মুখরিত করে রেখেছেন উদ্যানের চারপাশ।
দুপুর আড়াইটা থেকে মহাসমাবেশ শুরু হবে। মহাসমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
কাকরাইল, নিউ মার্কেট, মিন্টো রোড, বেইলি রোড, শাহবাগ, বাংলা একাডেমির সামনেও নেতাকর্মীদের সরব উপস্থিতি রয়েছে। বিভিন্ন জেলা থেকে আসা অসংখ্য গাড়ি পার্কিং করায় নয়া পল্টন, কাকরাইলসহ বেশ কয়েকটি স্থানে দেখা দিয়েছে তীব্র যানজট।
আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বুধবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, আগামী শুক্রবার দুপুর আড়াইটা থেকে যুব সমাবেশ শুরু হবে।
দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম যুব সংগঠন আওয়ামী যুবলীগ দেশের যে কোন সংকটে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে উল্লেখ করে বুধবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেন, রাষ্ট্রবিরোধী অপশক্তি বিএনপি-জামায়াত দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে অপচেষ্টা চালাচ্ছে। যুবলীগের নেতা-কর্মীরা ১১ নভেম্বরের পর থেকে বিএনপি-জামায়াত ও তাদের দোসরদের যে কোন ধরণের নৈরাজ্য মোকাবেলা করতে রাজপথে থাকবে। যুবলীগ বিশ্বাস করে যে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি পরাজিত হলে, বাংলাদেশ হারবে। কারণ দেশের মানুষ বিএনপি-জামায়াতের ডাকা ৯২ দিনের অবরোধের কথা ভুলে যায় নি।
যুব মহাসমাবেশের সময় সোহরাওয়ার্দী উদ্যাণ জনসমুদ্রে পরিণত হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন যুবলীগের চেয়ারম্যান। যুব মহাসমাবেশকে সফল করতে মোট দশটি সাব কমিটি করা হয়েছে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মহাসমাবেশস্থলে প্রবেশের জন্য পাঁচটি গেট করা হয়েছে।