জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রলীগের কর্মসূচিতে না যাওয়ায় বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের দুই ছাত্রীকে সিট ছেড়ে দেওয়ার জন্য হুমকির অভিযোগ উঠেছে দুই ছাত্রলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই দুই ছাত্রলীগ কর্মী।
শনিবার (১৩ মে) ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে এসব তথ্য জানা যায়। এর আগে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের তৃতীয় তলার কমন রুমে এই ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী দুই ছাত্রী উভয়ই বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের আবাসিক ছাত্রী। একই হলের আবাসিক ছাত্রী ও শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. ইব্রাহীম ফরাজির কর্মী ছাইরা ছামছি নিপুন ও নাজমুন নাহার স্বর্ণাসহ তার সহযোগীরা মধ্যরাতে হলের কমনরুমে ডেকে নিয়ে এমন হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন তারা। এঘটনার পরে নিজের কক্ষে ফিরে অজ্ঞান হয়ে পড়েন এক ভুক্তভোগী। সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা চলায় তাদেরকে ডাকলে তারা একটু দেরীতে যান। দেরীতে যাওয়ায় তাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে অভিযুক্ত দু’ছাত্রলীগ নেত্রী। এসময় ছাত্রলীগের কর্মসূচিতে না যাওয়ায় তাদেরকে হলের সিট ছেড়ে দেওয়ার জন্য হুমকি-ধমকি দেওয়া হয়।
ভুক্তভোগী এক ছাত্রী জানান, ‘আমরা ছাত্রলীগের কর্মসূচিতে যাইনি বলে আমাদেরকে আগামী মাসের ১ তারিখে হল থেকে নেমে যেতে বলেন। ছাত্রলীগের এক বড় ভাইয়ের নাম করে ওনারা বলেন, ওনাকে বলতে অন্য সিট দেখতে নয়তো বাসা দেখে দিতে।’
তবে অভিযোগ অস্বীকার করেন অভিযুক্ত ছাত্রলীগ কর্মী নিপুন। তিনি বলেন, ‘এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। ষড়যন্ত্র করে মিথ্যা ছড়ানো হচ্ছে।’ অভিযোগ অস্বীকার করেন আরেক ছাত্রলীগ কর্মী নাজমুন্নাহার স্বর্ণা পাটোয়ারীও। তিনি বলেন, ‘হলে এমন কোনো ঘটনাই ঘটেনি।’
শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি মো. ইব্রাহীম ফরাজি বলেন, ‘হলের বড় বোন আম খাওয়ার জন্য ছোট বোনকে ডেকেছিল। আসতে দেরী করলে একটু রেগে কথা বলেছিল। এটা তেমন কোন বিষয় না। হলে থাকতে হলে এমন ছোট ঘটনা ঘটে। এখানে অজ্ঞান হয়ে যাবার কোন ঘটনা ঘটেনি।’
হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. দীপিকা রাণী সরকার বলেন, ‘আমার কাছে এখনও কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি। কোনো অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’