যুক্তরাষ্ট্রের নেভাল স্পেশাল ওয়ারফেয়ার (এনএসডব্লিউ) এবং বাংলাদেশ নৌবাহিনীর স্পেশাল ওয়ারফেয়ার ডাইভিং অ্যান্ড সালভেজ (এসডব্লিউএডিএস) এর মধ্যে ২০২২ সালের দ্বিতীয় জয়েন্ট কম্বাইন্ড অ্যাক্সচেঞ্জ ট্রেনিং (জেসিইটি) মহড়া শেষ হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) ঢাকার মার্কিন দূতাবাস এ তথ্য জানায়। গত ১৭ অক্টোবর থেকে থেকে শুরু হওয়া মহড়া শেষ হয় ১০ নভেম্বর।
জানা যায়, বাংলাদেশ নৌবাহিনীর এসডব্লিউএডিএস এবং যুক্তরাষ্ট্র নৌবাহিনীর এনএসডব্লিউ প্রশিক্ষকরা চার সপ্তাহের কঠোর অনুশীলনে অংশ নেন। যার মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীরা টহল ও সঙ্কট মোকাবিলার কৌশলগুলোর সঙ্গে নিজেদের পরিচিত করতে পেরেছে। এ প্রশিক্ষণের মূল লক্ষ্যগুলোর মধ্যে চিকিৎসা দেওয়া ও যুদ্ধজাহাজ রক্ষণাবেক্ষণ, সমুদ্রে অভিযান পরিকল্পনা, নৌযানে তল্লাশি চালানো ও জব্দ করার কৌশল এবং সামুদ্রিক যোগাযোগের মৌলিক বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত ছিল।
প্রশিক্ষণ শেষে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর এসডব্লিউএডিএস’র ৪২ জন অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বহরে থাকা আমেরিকার তৈরি ডিফেন্ডার এবং মেটালশার্ক টহল বোটগুলো কর্ণফুলী নদী ও বঙ্গোপসাগরে দক্ষতার সঙ্গে পরিচালনার মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা এবং বাংলাদেশের সামুদ্রিক স্বার্থ সুরক্ষিত করার ব্যাপারে পেশাগত দক্ষতা ও প্রস্তুতি প্রদর্শন করেছে।
২০০৯ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নেভাল স্পেশাল ওয়ারফেয়ারের নাবিক এবং স্পেশাল ফোর্সের সৈন্যরা জয়েন্ট কম্বাইন্ড এক্সচেঞ্জ ট্রেনিংয়ের (জেসিইটি) মাধ্যমে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর স্পেশাল ওয়ারফেয়ার ডাইভিং অ্যান্ড সালভেজের (এসডব্লিউএডিএস) ৪০০ এর বেশি সদস্যকে সফলভাবে প্রশিক্ষণ দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে নিরাপত্তা সহযোগিতা বাড়ানো, শান্তিপূর্ণ উন্নয়নকে উৎসাহিত করা ও সঙ্কটময় পরিস্থিতি মোকাবিলার মধ্য দিয়ে এ অঞ্চলে স্থিতিশীলতা বাড়াতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
যুক্তরাষ্ট্র নৌবাহিনীর নেভাল স্পেশাল ওয়ারফেয়ার ও বাংলাদেশ নৌবাহিনী ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে স্থিতিশীলতা বাড়াতে নিরাপত্তা সহযোগিতা বৃদ্ধি, শান্তিপূর্ণ উন্নয়নকে উৎসাহিত করা ও সম্ভাব্য পরিস্থিতি মোকাবেলার মাধ্যমে একসাথে কাজ করছে।