চলতি মাসের মাঝামাঝি পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন টেস্টের সিরিজে নামবে অস্ট্রেলিয়া। সিরিজটি হবে অভিজ্ঞ ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নারের ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট যাত্রা। ২০১৮-তে বল টেম্পারিং কেলেঙ্কারির একজন ওয়ার্নারকে কেন নায়কের বিদায়ের সুযোগ দেয়া হচ্ছে সেটির সমালোচনা করেছেন সাবেক অজি পেসার মিচেল জনসন। ওয়ার্নারের সমালোচনা করায় অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাচক জর্জ বেইলি আবার জনসনের সুস্থতা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন।
৪২ বর্ষী জনসন এক কলামে লিখেছেন, ‘পাঁচ বছর হয়ে গেছে, ওয়ার্নার কী এখনও তার দোষ স্বীকার করেছেন। এখন তিনি যেভাবে অবসরে যাচ্ছেন, সেটা আমাদের দেশের প্রতি একরকম ঔদ্ধত্য ও অসম্মান।’
‘যেভাবে ওয়ার্নারের বিদায়ী সিরিজের জন্য প্রস্তুত হচ্ছি, দয়া করে কেউ বলতে পারেন কেন? টেস্টে রানখরায় ভুগতে থাকা একজন ওপেনারের কেন বিদায়ের তারিখ ঘোষণা করতে হবে। অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট ইতিহাসে অন্যতম বড় কেলেঙ্কারির কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা একজনকে নায়কের বিদায় দিতে হবে? ওয়ার্নার অবশ্যই অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট অধিনায়ক ছিল না এবং সেটা কখনও প্রত্যাশাও করবে না। প্রকৃতপক্ষে, আজীবন নেতৃত্বের নিষেধাজ্ঞায় থেকে ক্যারিয়ার শেষ করবেন।’
তবে ৩৭ বর্ষী ওয়ার্নারের বিষয়ে জনসনের সাথে একমত হতে পারেননি প্রধান নির্বাচক বেইলি। বলেছেন, জনসন খেলোয়াড়দের অভিজ্ঞতা ও পরিকল্পনা সম্পর্কে অবগত নন।
‘আমি এটার টুকরো টুকরো ঘটনা সম্পর্কে অবগত। আশা করছি সে ঠিক আছে। কেউ যদি দূর থেকে খেলোয়াড়রা কিসের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, দল ও কোচিং স্টাফদের পরিকল্পনা না জেনে এমন মন্তব্য করে, দেখাতে পারে এটা বেশি লাভজনক। তাহলে এমন কথা শুনতে আমি রাজি আছি।’
বেইলির দ্বিমুখী আচরণের কথা বলতে সাবেক অধিনায়ক টিম পেইনের সেক্সটিং বিতর্ক প্রসঙ্গ তুলে আনেন জনসন। কাছের বন্ধু হওয়ায় পেইনের বিষয়ে কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গার ও আরেক নির্বাচকের উপর বিষয়টি ছেড়ে দিয়েছিলেন বেইলি।
২০১৮ সালে সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে বল টেম্পারিংয়ে অভিযুক্ত হয়েছিলেন স্টিভেন স্মিথ, ডেভিড ওয়ার্নার ও ক্যামেরন ব্যানক্রফট। যা স্যান্ডপেপারগেট কেলেঙ্কারি নামে পরিচিত। ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে নিষিদ্ধ হন স্মিথ, ওয়ার্নার ও ব্যানক্রফট।