নিজেকে তিনি পরিচয় দিতেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তা, কখনো আবার শিক্ষা বিভাগের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা নয়তো অন্য কোন সরকারি দপ্তরের বড় কর্তা। এভাবে নিজেকে পরিচয় দেওয়ার মাধ্যমে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে হাতিয়ে নিতেন চাকরি প্রত্যাশীদের নিকট থেকে মোটা অংকের টাকা। এমনকি বিশ্বাস অর্জনের জন্য চাকরি প্রার্থীদের নিকট তিনি ভুয়া নিয়োগপত্রও সরবরাহ করতেন।
শেরপুরের নালিতাবাড়ী থানা পুলিশের হাতে আটক হওয়া ওই প্রতারকের নাম মুরাদুজ্জামান মুরাদ (৩০)। মুরাদ ঝিনাইগাতি উপজেলার দুপুরিয়া গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে।
মঙ্গলবার (২ মে) বিকেলে নালিতাবাড়ী শহরের উত্তর বাজার এলাকা থেকে পুলিশ তাকে আটক করেছে। পরে রাতে থানা কম্পাউন্ডে সংবাদ সম্মেলন করে বিষয়টি গণমাধ্যম কর্মীদের নিশ্চিত করেছেন নালিতাবাড়ী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার রায়হানা ইয়াসমিন।
তিনি জানান, মুরাদ দীর্ঘদিন যাবত জেলার বিভিন্ন স্থানে সহজ-সরল বেকারের কাছ থেকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিল। শুধু তাই নয়, মাত্র ত্রিশ বছর বয়সী এ প্রতারক সেসব চাকরি প্রার্থীদের হাতে ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে ভয়াবহ প্রতারণার ফাঁদ পেতেছিল।
ইতোমধ্যেই সে জেলার অসংখ্য বেকারের কাছ থেকে চাকরি দেওয়ার নামে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। প্রতারণায় ভুক্তভোগীরা পুলিশের আইজিপিসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। সে অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ প্রতারক মুরাদকে আটক করতে তৎপর ছিল।
এরই মধ্যে শ্রীবরদী উপজেলার ইন্দিলপুর এলাকার এক চাকরি প্রার্থীকে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে ভুয়া নিয়োগপত্র হাতে দিয়ে দুই দফায় ৬ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। ফলে প্রতারণার শিকার ওই ভুক্তভোগী শ্রীবরদী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
একপর্যায়ে মঙ্গলবার বিকেলে নালিতাবাড়ীতে একইভাবে প্রতারণা করতে গেলে থানা পুলিশ তাকে আটক করে। পরে শ্রীবরদীর মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ৩ মে বুধবার তাকে আদালতে সোপর্দ করে।
আদালতের বিচারক তাকে জেলা কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।