গত গ্রীষ্মে ম্যানচেস্টার সিটি ছেড়ে আর্সেনালে যান গ্যাব্রিয়েল জেসাস। সেসময় ব্রাজিলীয় ফরোয়ার্ড বাধ্য হয়েই ক্লাব ছেড়েছিলেন বলে দাবি করেন। সিটি কোচ পেপ গার্দিওলার ‘পাগলামো’ সিদ্ধান্তের কারণেই ইতিহাদ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, বলছেন ২৬ বর্ষী জেসাস।
২০২১-২২ মৌসুমে সিটিজেনদের হয়ে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ শিরোপাজয়ী দলের সদস্য ছিলেন জেসাস। গত মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপপর্বের এক ম্যাচেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ক্লাব ছাড়ার। ম্যাচটি ছিল পিএসজির বিপক্ষে।
ম্যাচের আগে জেসাস দলের প্রধান স্ট্রাইকার হিসেবে অনুশীলন করলেও সুযোগ পাননি শুরুর একাদশেই। তার পরিবর্তে গার্দিওলা মাঠে ফলস নাইন হিসেবে নামিয়েছিলেন অ্যালেক্সান্দার জিনচেঙ্কোকে। ম্যাচে পিএসজির বিপক্ষে শুরুতেই ১-০তে পিছিয়ে পড়ে গার্দিওলার দল। পরে জেসাস বদলি হিসেবে নেমে একটি গোল করে ও অন্যটি করিয়ে সিটিকে জেতান।
সেই ম্যাচেই কান্না ভেজা চোখে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ক্লাব ছাড়বেন। বলছেন, ‘ম্যাচের আগেরদিন, গার্দিওলা জিনচেঙ্কোকে অনুশীলনে রাখেননি। কারণ দলের মূল স্ট্রাইকার ছিলাম আমি। খেলার দুই ঘণ্টা আগে দল খাবে, ৩০ মিনিট বিশ্রাম নেবে এবং ম্যাচের জন্য মাঠে যাবে, এমন সময় তিনি আমাদের এমন পাগলামো সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিলেন।’
‘তিনি যখন আমাদের এমন জানালেন, আমি খেতে পারিনি। কাঁদতে কাঁদতে সরাসরি রুমে চলে গিয়েছিলাম। সেসময় আমার মাকে ফোন করি। তখনই মাকে বলেছিলাম, আমি চলে যেতে চাই। তিনি আমার জায়গায় একজন লেফট-ব্যাককে খেলিয়েছিলেন। আমার মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছিল।’
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে কাইলিয়ান এমবাপে পিএসজিকে লিড এনে দেয়ার পর অবশ্য জেসাসকেই ডাকেন গার্দিওলা। দলকে সমতায় ফেরাতে রাহিম স্টার্লিংকে গোল করতে সহায়তার পর জয়সূচক গোলটি করেন নিজেই।
‘আমি একটি অ্যাসিস্ট করেছিলাম এবং গোল করেছিলাম। আমরা সেই ম্যাচে ২-১ ব্যবধানে জিতেছিলাম। ভেবেছিলাম চ্যাম্পিয়ন্স লিগের পরের ম্যাচে আমি থাকব, কিন্তু মজার বিষয় সেই ম্যাচেও আমি ছিলাম না। তখন ক্লাব ছাড়ার সিদ্ধান্ত ফাইনাল করলাম।’