আসাদুজ্জামান বাবুল: ভালোবাসার টানে বাংলাদেশে আসা জার্মানির তুরুণী ‘জেনিফার স্ট্রায়াস’ আর গোপালগঞ্জের ছেলে চয়ন ইসলামের বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার খবর বেশ আলোড়ন তুলেছে। তবে এবার জানা গেল জার্মানি থাকাকালীন সময়েও বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিল এই দম্পতি এবং তাদের এক পুত্র সন্তানও ছিল।
গত ১৯ ফেব্রুয়ারি জার্মানের বিয়ে এবং পুত্র সন্তানের তথ্য গোপন করে আদালতে অ্যাভিডেভিটের মাধ্যমে জেনিফারকে আবারও বিয়ে করেন চয়ন।
জানা যায়, গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলার জোতকুরা গ্রামের ইতালি প্রবাসী রবিউল ইসলামের ছেলে চয়ন ইসলাম ছয়-সাত বছর আগে বাবার কাছে বেড়াতে ইতালিতে যান। সেখান থেকে কিছুদিন পর ভাষা শিখতে জার্মানিতে যান চয়ন। জার্মানির একটি ভাষার ট্রেনিং সেন্টারে পরিচয় হয় জার্মানি তুরুণী জেনিফার স্ট্রায়াসের সঙ্গে। এরপর একে অপরের সাথে ভালোবাসায় জড়িয়ে পড়েন।
এক সময় তা গড়িয়ে যায় অনেক গভীরে। এরপর জার্মানের আইন অনুযায়ী জেনিফারকে বিয়ে করেন চয়ন। তাদের ঘরে জন্ম নেয় এক পুত্র সন্তান। তবে দেড়মাস আগে তাদের পুত্র সন্তানটি মারা যায়।
মাধ্যমিক লেভেলের শিক্ষার্থী জেনিফার বাবা জোসেফ স্ট্রায়াস ও মা এসাবেলা স্ট্রয়াসের সঙ্গেই জার্মানির বাইলেফেল্ড স্টেটে বসবাস করেন। স্বামী চয়ন ইসলাম বাংলাদেশের গোপালগঞ্জের জোতকুরা গ্রামের বাসিন্দা রবিউল ইসলাম ও ঝর্ণা বেগম দম্পতির একমাত্র ছেলে।
এদিকে জার্মানি নারী জেনিফার আসার খবরে গণমাধ্যম কর্মীরা চয়নদের বাড়ীতে গেলে তার মা ঝর্ণা বেগম বলেন, জেনিফার মতো মেয়ে আমাদের পল্লীগ্রামের মানুষের সাথে এতো তাড়াতাড়ি মিশে যাবে তা ভাবতেও পারিনি।
চয়ন নিজেকে খুব ভাগ্যবান মনে করে বলেছেন, জেনিফারকে পেয়ে সত্যি আমি খুব ভাগ্যবান। জেনিফারকে কোনদিনও পাবো তা আমি কল্পনাও করতে পারিনি।
জার্মানি তরুণী জেনিফার স্ট্রায়াস যা বললেন, চয়নকে ভালোবাসার মধ্যে দিয়েই আমি বাংলাদেশকে ভালোবেসেছি। বাংলাদেশে আসতে পেরেও আমি ভীষণ খুশি হয়েছি।
এর আগে ২০২২ সালের ১০ মার্চ চয়ন বাংলাদেশে চলে আসেন। এরপর গত ১৭ ফেব্রুয়ারি রাতে স্বামী চয়নের বাড়ী বাংলাদেশের কাশিয়ানীর জোতকুরা ছুটে আসে জেনিফার। এদিন রাতে হযরত শাহ্জালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে এসে পৌছান জার্মানির বউ জেনিফার। সেখানে আগে থেকেই অপেক্ষমান চয়ন ইসলাম ও তার স্বজনরা তাকে স্বাগত জানান। চয়নের পরিবারের লোকজন রাতেই জেনিফারকে সঙ্গে নিয়ে সরাসরি গোপালগঞ্জ শহরে আত্মীয়র বাড়িতে চলে আসেন।