ফুকুশিমা পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে পরিশোধিত বর্জ্যপানি এ সপ্তাহেই সমুদ্রে ফেলতে যাচ্ছে জাপান। মন্ত্রিসভার বৈঠকে জাপান এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
প্রতিবেশী দেশগুলোর বিরোধিতা সত্ত্বেও ফুকুশিমা পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে প্রশান্ত মহাসাগরে পরিশোধিত বর্জ্যপানি নিষ্কাশন করবে জাপান। জাতিসংঘের পরমাণু পর্যবেক্ষণ সংস্থা এ পরিকল্পনা অনুমোদন করার কয়েক সপ্তাহ পরই জাপান এই সিদ্ধান্ত নেয়।
রোববার জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা প্ল্যান্টটি পরিদর্শন করেন। পরে মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর তিনি জানান, আবহাওয়া ও সমুদ্রের পরিস্থিতি উপযুক্ত হলে ২৪ আগস্ট নিষ্কাশনের জন্য প্রস্তুতির অনুরোধ জানাবে কর্তৃপক্ষ।
পরিকল্পনাটি নিয়ে প্রতিবেশী দেশগুলো উদ্বেগ জানিয়েছে। এ বিষয়ে চীন সবচেয়ে সোচ্চার। সমুদ্রেকে প্রাইভেট ড্রেন মনে করে এই পরিকল্পনার জন্য জাপানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে চীন। সাউথ কোরিয়া ও চীন ফুকুশিমা থেকে মাছ আমদানি নিষিদ্ধ করেছে। জাপানের ফুকুশিমা ও এর আশেপাশের বাসিন্দাদের জন্য পরিশোধিত পানি নিরাপদ হবে কি না, তা নিয়েও শঙ্কায় রয়েছে তারা। দেশটির জেলেদের জীবিকার ওপর এর প্রভাব পড়বে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এক দশক আগে নয় মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানার পর তছনছ হয়ে যায় ফুকুশিমার পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। ভয়াবহ ভূমিকম্পের কারণে সৃষ্ট সুনামিতে ভেসে যায় হংসু দ্বীপ। মারা যায় প্রায় আঠার হাজার মানুষ। সুনামিতে ফুকুশিমা বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং এর পারমাণবিক চুল্লি প্লাবিত হয়। কেন্দ্র থেকে তেজস্ক্রিয় রশ্মি বিকিরণ হবার কারণে কর্তৃপক্ষ একটি এক্সক্লুসিভ জোন তৈরি করে।