কোল্ড ড্রিংসের সাথে চেতনানাশক ঔষধ মিশিয়ে তা বাবা ও ১৩ বছরের মেয়েকে খাইয়ে তাকে ধর্ষণ করেছে হায়দার আলী (৫০) নামের এক ধর্ষক।
পরে গ্রামবাসী কৌশলে ধর্ষককে আটক করে থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে জেলার পাঁচবিবি উপজেলার আওলাই ইউনিয়নের গোড়না গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আটককৃত হায়দার আলী উপজেলার বিনশিরা গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে।

স্থানীরা জানায়, বুধবার ওই মেয়েটির মা ও দাদী পাঁচবিবি উপজেলার ছাতিনালী গ্রামে বিয়ের দাওয়াত খেতে গেলে বাড়িতে বাবা ও মেয়ে একাই থাকে। সুযোগ বুঝে রাতে হায়দার তাদের বাড়িতে গিয়ে প্রাণ আপের বোতলে চেতনানাশক ঔষধ মিশিয়ে কৌশলে তাকে ও তার বাবাকে খাওয়ায়। এর কিছুক্ষণ পড়েই বাবা মেয়ে দুজনেই অচেতন হয়ে পড়ে। সেই সুযোগে হায়দার পাশের কক্ষে মেয়েটিকে নিয়ে গিয়ে রাতভর তার উপর যৌন নির্যাতন চালায়।
সকাল ৮/৯ টা পরও বাড়ির কারোও কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে প্রতিবেশিরা গিয়ে দেখেন আলাদা আলাদা কক্ষে মেয়েটি বিবস্ত্র ও তার বাবা দুজনেই অচেতন হয়ে পরে আছে । ঘটনাটি জানাজানি হলে গ্রামবাসী কৌশলে হায়দার আলীকে আটক করে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ধর্ষককে আটক করে থানায় নিয়ে যায় এবং বাবা-মেয়েকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
পাঁচবিবি থানার অফিসার ইনচার্জ পলাশ চন্দ্র দেব বলেন, এ ঘটনায় একজনকে আটক করে আনা হয়েছে। নির্যাতিতাদের সাথে কথা বলে মামলার প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।