জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দুই জনের ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে। এতে আতংকে রয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রের তথ্য মতে, গত সপ্তাহে ১০ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত করেছেন তারা। এর মধ্যে হাসপাতালে ভর্তিকালীন ২ জন সুস্থ হয়ে ওঠে।
চিকিৎসা কেন্দ্রের প্রধান মেডিক্যাল অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মো. শামসুর রহমান চ্যানেল আইকে বলেন, এখন প্রতিদিন ২ জন করে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী পাচ্ছি। তাদের অনেকে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে সুস্থ হয়েছে। রোগীরা নিয়মিত যোগাযোগ না করায় কতজন সুস্থ হয়েছে তা বলতে পারছি না।
সরেজমিনে দেখা যায়, আবাসিক হলের ড্রেন, ডাবের খোসা, পুলের টবের জলাবদ্ধ পানি, পুকুর ও ঝোঁপঝাড় এবং যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনার স্তুপগুলোতে জমাট বেঁধে আছে মশা।
সবখানে মশার উপদ্রবে অতীষ্ঠ হয়ে উঠছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ফলে দিনের বেলাতেও মশারি টাঙ্গিয়ে থাকতে হচ্ছে তাদেরকে।
এদিকে ডেঙ্গু প্রতিরোধে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অফিস হলচত্বরসহ ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলো পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য হল প্রশাসন, শিক্ষকদেরকে অনুরোধ করে বিজ্ঞপ্তি দিলেও ফলপ্রসূ কোন উদ্যোগ দৃশ্যমান নয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০তম আবর্তনের ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী মো. ইব্রাহিম বলেন, মশার কামড়ে রাতের বেলায়ও ঘুম হয় না। এমনিতে গণরুম আবার মশার কামড়, পড়াশোনা হচ্ছে না ঠিকমতো। তাই, দিনের বেলায়ও মশারী টাঙ্গিয়ে পড়তে হয়।
শীতে মশা চরমে পৌঁছাবে বলে মনে করছেন প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক বিশিষ্ট কীটতত্ত্ববিদ ড. কবিরুল বাশার। তিনি চ্যানেল আইকে বলেন, ‘ক্যাম্পাসে চার ধরনের মশা আছে। তারমধ্যে ‘এডিস’ মশা তেমন একটা পাইনি। তবে কনস্ট্রাকশন কাজের এরিয়াগুলোতে থাকতে পারে। সেটা দেখতে হবে।
ডেপুটি রেজিস্ট্রার আবদুর রহমান (এস্টেট) চ্যানেল আইকে বলেন, হল কর্তৃপক্ষগুলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য বলা হয়েছে। কামাল উদ্দিন হল থেকে আস্তে আস্তে সব হলে স্প্রে করা হবে। আর ময়লা আবর্জনা গুলো সরানোর কাজ চলমান। তবে যেসব হল ময়লা রাস্তার পাশে ফেলে সেগুলো ওই হল প্রশাসন দেখবে।
আবাসিক হলে মশা নিধনের ব্যবস্থা নিতে সব হল প্রশাসনকে জানিয়েছেন বলে জানান বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হল প্রাধ্যক্ষ ও প্রাধ্যক্ষ কমিটির সভাপতি ড. আব্দুল্লাহ হেল কাফি।