চারবারের বিশ্বকাপ জয়ী দল হয়েও বিশ্বকাপবাছাই উৎরাতে পারেনি ইতালি। সবশেষ আর্জেন্টিনার বিপক্ষে হারের দগদগে ক্ষত জ্বালা বাড়িয়েছে বহু গুণ। প্রীতি ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াতে জয়টা বড্ড বেশি প্রয়োজন ছিল জার্মানির বিপক্ষে। নিজেদের মাঠে ড্র পুরনো ক্ষতে আঘাতের সমান ইতালিয়ানদের। ভিন্ন ম্যাচে হাঙ্গেরির কাছে ১-০ গোলে ধরাশায়ী ইংল্যান্ড।
সব হতাশা ভুলে নিজেদের মাঠে স্বরূপে ফিরবে ইউরো চ্যাম্পিয়ন ইতালি সমর্থকরা সে রকমটাই প্রত্যাশা করেছিল। প্রত্যাশার ছিটেফোঁটাও পূরণ করতে পারেনি রোবের্তো মানচিনির দল।
জার্মান আক্রমণ ঠেকাতে রক্ষণে এদিন বাড়তি পাহারা বসিয়েছিল ইতালি। খুব একটা বিফলে যায়নি কৌশল। জার্মানদের আক্রমণ প্রতিহত করেছে মানচিনির দল। তবে দ্রুত আক্রমণে গেলেও তাতে প্রাণ ছিল না। দুর্বল শটে গোল আসেনি। গোলশূন্য ড্র’য়ে শেষ হয় প্রথমার্ধের খেলা।
দ্বিতীয়ার্ধে নেমে খেলায় গতি আনার চেষ্টা করে দু’দল। সমান তালে লড়েছে উভয়ই। তবে গোল আসতে সময় নিচ্ছিল। ম্যাচের ৭০ মিনিটে উইলফ্রেড গন্টো বাড়ানো বল জালে পাঠিয়ে ইতালিকে উদযাপনের উপলক্ষ এনে দেন লরেঞ্জো পেলেগ্রিনি। তবে সেই উদযাপনের রেষ ফুরনোর আগেই পাল্টা আক্রমণে গিয়ে জার্মানদের সমতায় ফেরান জোশুয়া কিমিচ।
এরপর একের পর এক আক্রমণে গিয়েও হতাশ হয়ে ফিরতে হয়েছে ইতালিকে। ফিনিশিংয়ের ঘাটতি এ ম্যাচেও ভুগিয়েছে মানচিনিকে। শেষ পর্যন্ত আর গোল না হয়ে ১-১-এ ড্র’নিয়ে মাঠ ছাড়ে দু’দল।
ভিন্ন ম্যাচে ইংলিশদের ১-০ গোলে হারিয়েছে হাঙ্গেরি। ম্যাচের প্রথমার্ধ গোলশূন্য গোলে ড্র থাকার পর দ্বিতীয়ার্ধের ৬৬ মিনিটে হাঙ্গেরিকে এগিয়ে নেয় ডমিনিক জোবোস্লাই। পিছিয়ে পরে বারবার ম্যাচে ফেরার চেষ্টা চালিয়েও শেষ পর্যন্ত আর পেরে ওঠেনি ইংলিশরা। ১-০ গোলের জয়ে মাঠ ছাড়ে হাঙ্গেরি।