একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ৩২ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ। এই উপলক্ষে আজ শুক্রবার ১৯ জানুয়ারি সকাল ৮ টা ৩০ মিনিটে মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী শহীদ মিনারে শহীদ জননী জাহানারা ইমামের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করে দিনটি শুরু করেছে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি।
শ্রদ্ধা নিবেদন করেন নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় সহ-প্রচার সম্পাদক সাইফ উদ্দিন, নির্মূল কমিটি দারুস সালাম থানার যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ সেলিম রেজা, মুক্তিযুদ্ধের শহীদ স্মৃতি পাঠাগার মিরপুরের সহ-সভাপতি শফিকুল গণি, মুক্তিযুদ্ধের শহীদ স্মৃতি পাঠাগার মিরপুরের সহ-সভাপতি আনোয়ারা বেগম। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, নির্মূল কমিটি দারুস সালাম থানার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু সালেহ সায়মন, নির্মূল কমিটি ১০ নং ওয়ার্ড শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সজিব হোসেন তানিম, মুক্তিযুদ্ধের শহীদ স্মৃতি পাঠাগার মিরপুরের সদস্য বাবুল হোসেন ও মুক্তিযুদ্ধের শহীদ স্মৃতি পাঠাগার মিরপুরের সদস্য মঙ্গল মিয়াসহ নির্মূল কমিটি দারুস সালাম থানা, ওয়ার্ড ও মুক্তিযুদ্ধের শহীদ স্মৃতি পাঠাগার মিরপুরের সদস্যবৃন্দ। শ্রদ্ধা নিবেদনের পর এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
এছাড়া দিনটি উপলক্ষে বিকেল ৩টায় বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে নির্মূল কমিটির ৩২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত হবে এক আলোচনা সভা। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন গণ আদালতের অন্যতম বিচারক, নির্মূল কমিটির উপদেষ্টা সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ।
১৯৯২ সালের ১৯ জানুয়ারি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়ে শহীদ জননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে ১০১ জন বরেণ্য নাগরিক কর্তৃক স্বাক্ষরিত এক ঘোষণার মাধ্যমে সূচিত হয়েছিল একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির এক দুর্গম অভিযাত্রা। বহু বাধাবিঘ্ন, জেল-জুলুম-হত্যা মোকাবেলা করে গত তিন দশকে নির্মূল কমিটি ধর্মনিরপেক্ষ মানবিক রাষ্ট্র ও সমাজ গঠনের বৃহত্তম নাগরিক আন্দোলনে পরিণত হয়েছে এবং বিস্তার লাভ করেছে পাঁচটি মহাদেশে।
আন্দোলন ও সংগ্রামের তিন দশকের অধিক সংগঠনটির সময়ে বহু সাফল্য রয়েছে। নির্মূল কমিটির ধারাবাহিক আন্দোলনের কারণে ৭১-এর গণহত্যাকারীদের বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল গঠিত হয়েছে এবং শীর্ষস্থানীয় যুদ্ধাপরাধীদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে।