সম্প্রতি ইসরায়েল এবং গাজা উপত্যকায় চলমান যুদ্ধের বিরতি চেয়ে একটি মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। এই মন্তব্যের জের ধরেই এবার গুতেরেসের পদত্যাগ চেয়ে আপাতত তার সঙ্গে আর কোন বৈঠকে অংশ নেবে না বলে জানিয়েছে ইসরায়েল।
গতকাল (২৪ অক্টোবর) মঙ্গলবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে হামাস এবং ইসরায়েল প্রসঙ্গে গুতেরেস বলেছেন, এই মুহূর্তে এই সংঘাত বন্ধ হওয়া উচিত। গাজা স্ট্রিপে আমরা যা দেখছি, তা থেকে এটা পরিষ্কার যে সেখানে আন্তর্জাতিক আইন মানা হচ্ছে না। গুতেরেসের এই মন্তব্যের পর তার কড়া সমালোচনা করেছে ইসরায়েল।
গুতেরেস বলেছেন, ওই অঞ্চলে ফিলিস্তিনিরা দীর্ঘদিন ধরে কার্যত পরাধীন হয়ে আছেন। হামাস যে আক্রমণ চালিয়েছে তা একদিনে তৈরি হয়নি। যদিও হামাসকে জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপ সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে গণ্য করে।
এই মন্তব্যের পর তার কড়া সমালোচনা করে জাতিসংঘের ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত গিলাড এরডান বলেছেন, শতাধিক মানুষকে যারা খুন করেছে, পুরুষ, নারী, শিশু কাউকে রেহাই দেয়নি, সেই হামাসকে সমর্থন করেছেন গুতেরেস। জাতিসংঘের প্রধান থাকার আর কোনো অধিকার নেই তার।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলি কোহেন এই বিষয়ে বলেছেন, ৭ অক্টোবর যারা নির্বিচারে মানুষ হত্যা করল গুতেরেস কার্যত তাদের সমর্থন করেছেন। তিনি বলেন, গুতেরেস আপনি কোন বিশ্বে থাকেন জানি না, তবে এটা আমাদের বিশ্ব নয়, এটুকু বলতে পারি। এরপর জাতিসংঘ প্রধানের সাথে বৈঠকও বাতিল করেছেন তিনি।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে একটি অনুষ্ঠান চত্বরে আক্রমণ চালিয়ে বহু মানুষকে হত্যা করে হামাস। এছাড়াও প্রায় ২২০ জন বেসামরিক মানুষকে জিম্মি করে নিয়ে যায় তারা। এরপর পাল্টা আক্রমণ চালিয়ে গাজা অঞ্চলকে কার্যত ধ্বংসাবশেষে পরিণত করেছে ইসরায়েল।
এমন পরিস্থিতিতে হামাস এবং ইসরায়েলকে যুদ্ধ বন্ধ করার আবেদন জানিয়েছেন অনেকেই। সাধারণ মানুষের হত্যা নিয়ে সরব হয়েছে বহু দেশ। জাতিসংঘের মহাসচিব গুতেরেসও সেই কথাই বলার চেষ্টা করেছিলেন বলে বিশেষজ্ঞদের একাংশের অভিমত।