ইসরায়েলে তর্ক বিতর্ক এবং বিক্ষোভের পর বিচার বিভাগ সংস্কার আইন পাস করা হয়েছে। এই আইনে ইসরায়েলি সুপ্রিম কোটের ক্ষমতা কমিয়েছে সরকার। ভোট গণনার পর ৬৪-০ ভোটে আইনটি পাস হয়। পরিবর্তিত আইন অনুযায়ী সরকারের কোন সিদ্ধান্তে সুপ্রিম কোর্ট হস্তক্ষেপ বা পরিবর্তন করতে পারবে না। আগে সরকার কোন বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিলে সেটি পরিবর্তন বা বাতিল করার ক্ষমতা ছিল সুপ্রিম কোর্টের হাতে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
সোমবার ২৪ জুলাই ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু হার্টের অপারেশন শেষে হাসপাতাল থেকে সরাসরি সংসদে গিয়ে এই আইনটি নিয়ে বিরোধী দলের সাথে আলোচনায় বসেন। আলোচনায় সমাধান না হওয়ায় এই বিষয়ে ভোট গ্রহণ করা হয়। কিন্তু এতে বিরোধী দল ভোট না দিয়ে ভোট বয়কট করে।
আইনে অন্যান্য পরিবর্তনের মধ্যে রয়েছে, কোর্টের বিচারপতি নিয়োগে যুক্ত হচ্ছে সরকারের ভূমিকা।
এই আইনের মধ্য দিয়ে সুপ্রিম কোর্টের ক্ষমতায় বাধা সৃষ্টি করা হয়েছে। দেশটির সর্বচ্চো আদালত এবং বিচার কাজে সরকারের ক্ষমতা প্রতিষ্ঠা যেন না হয়, সেই উদ্দেশ্যে আইনটি প্রস্তাব করার পর থেকে বিক্ষোভ শুরু করে আইন বিরোধীরা।
ইসরায়েলি সরকার বলেছে, ক্ষমতার স্থিতিশীলতা আনতে সুপ্রিম কোর্টের ক্ষমতা কমানো হয়েছে। কারণ গত এক দশকে সরকারের অনেক সিদ্ধান্তের ওপর হস্তক্ষেপ করেছে সুপ্রিম কোর্ট।
কিন্তু আইনটি পাস নিয়ে বেশ ক্ষুব্ধ ইসরায়েলি জনতা। পাইলটসহ রিজার্ভ বাহিনীর অনেকে জানিয়েছেন, তারা সরকারের আহ্বানে আর সামরিক কর্মকান্ডে অংশ নেবেন না।