প্রথমবারের মতো হামাসের সাথে সমঝোতায় যেতে রাজি হচ্ছে ইসরায়েল। ইসরায়েলের সাথে হামাসের যুদ্ধবিরতি প্রসঙ্গে টেলিগ্রামে পোস্ট করা একটি বার্তায় হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়াহ বলেছেন, আমরা একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছানোর কাছাকাছি রয়েছি।
এনডিটিভির তথ্য অনুসারে, আজ (২১ নভেম্বর) মঙ্গলবার নিজের টেলিগ্রাম অ্যাকাউন্টে পোস্ট করা একটি বার্তায় একথা জানিয়েছেন হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়াহ।
ইসরায়েলের গণমাধ্যমগুলো বলছে, ৫ দিনের যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে জিম্মিদের মুক্তির জন্য ইসরায়েলের কারাগারে আটক নারী ও শিশুদের সাথে বন্দী বিনিময় করা হবে।
কাতারের মধ্যস্থতায় ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতির এই আলোচনা শুরু হয়েছে। কাতারের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, একটি অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির বিনিময়ে কিছু জিম্মিকে মুক্ত করার একটি চুক্তি হতে পারে যা ছোট ব্যবহারিক বিষয়গুলোর ওপর নির্ভর করছে।

আলোচনার সাথে পরিচিত দুটি সূত্র জানিয়েছে, এই অস্থায়ী চুক্তিতে পাঁচ দিনের যুদ্ধবিরতির উল্লেখ রয়েছে। যার মধ্যে আছে স্থলভাগে যুদ্ধবিরতি এবং দক্ষিণ গাজায় ইসরায়েলি বিমান অভিযানের সীমাবদ্ধতা।
বিনিময়ে, হামাস এবং ইসলামিক জিহাদের হাতে বন্দী থাকা ৫০ থেকে ১০০ জনকে মুক্তি দেওয়া হবে। এবং এই সময়ের মধ্যে প্রস্তাবিত চুক্তির অধীনে ইসরায়েলের কাছে বন্দি থাকা প্রায় ৩০০ জন ফিলিস্তিনিকে ইসরায়েলি কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হবে, যাদের মধ্যে মহিলা এবং শিশু রয়েছে।
এদিকে গতকাল সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন একটি প্রেস ব্রিফিংয়ে একজন সাংবাদিক জিম্মি চুক্তি কাছাকাছি কিনা তা জানতে চাইলে জবাবে বলেন, আমি তাই বিশ্বাস করি। এরপর বাইডেন আঙ্গুল উঁচু করে ইঙ্গিত দিয়েছেন যে তিনি সৌভাগ্যের আশা করছেন।
বিজ্ঞাপন
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু হামাসের হাতে বন্দী প্রায় ২শ’ ৪০ জনের পরিবারের সাথে দেখা করেছেন। এসময় হামাসের কাছে জিম্মিদের পরিবারের সদস্যরা ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের জন্য মৃত্যুদণ্ড আইন পাস না করার জন্য ইসরায়েলের নেতাদের আহ্বান জানিয়েছেন। যাতে হামাস তাদের পরিবারেরর সদস্যদের কোন ক্ষতি না করে।
বিজ্ঞাপন