গাজার ভূখণ্ড জুড়ে আকাশ, স্থল এবং সমুদ্র পথে ইসরায়েলের ভারী বোমা হামলা চলছে। গাজার সব জায়গায় যুদ্ধের ভয়াবহতা বিরাজ করছে। খান ইউনিসসহ গাজা শহরের বিভিন্ন স্থানে চলছে তীব্র বিমান হামলা।
গাজার অন্তত ৮৫ শতাংশ বাস্তুচ্যুত মানুষ আশ্রয়ের খোঁজে হন্যে হয়ে এদিক-ওদিক ছুটছে।
শনিবার ১৬ ডিসেম্বর গাজা শহরে একটি গির্জায় আশ্রয় নেওয়া মা ও মেয়েকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। ইসরাইলি ড্রোন হামলায় নিহত আল জাজিরার সাংবাদিক সামের আবুদাকাকের মরদেহ শনিবার গাজার খান ইউনিসে দাফন করা হয়েছে। ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ১৮ হাজার ৭৮৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
ট্যাঙ্কসহ ভারী যুদ্ধযান নিয়ে উত্তর গাজার আল আওদা হাসপাতালে অভিযান চালিয়েছে ইসরায়েল বাহিনী। এছাড়া, বুলডোজার দিয়ে উত্তর গাজার কামাল আদওয়ান হাসপাতাল প্রাঙ্গণে ইসরায়েলি বাহিনী ফিলিস্তিনিদের পিষে ফেলছে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
গাজা শহরে একটি গির্জায় আশ্রয় নেয়া মা ও মেয়েকে ইসরায়েলি বাহিনী হত্যা করেছে বলে জানিয়েছে গির্জা কর্তৃপক্ষ। একই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছে আরও ৭ জন।
ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় নিহত আল জাজিরার সাংবাদিক সামের আবুদাকাকের মরদেহ শনিবার গাজার খান ইউনিসে দাফন করা হয়েছে। হামলার পর সামেরের কাছে অ্যাম্বুলেন্স ও উদ্ধারকর্মীদের পৌঁছাতে বাধা দেয় ইসরায়েলি বাহিনী।
৫ ঘণ্টারও বেশি সময় তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রাখা হয়। সামেরকে হত্যার বিষয়টি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে পাঠানো হবে জানিয়েছে আল জাজিরা মিডিয়া নেটওয়ার্ক।