ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) দ্রুত ক্রমবর্ধমান ক্রীড়া টুর্নামেন্টগুলোর অন্যতম। বিশ্বের নামি-দামী সব ক্রিকেটার মুখিয়ে থাকেন নিলামে ডাক পেতে। এমুহূর্তে দর্শক আগ্রহের তুঙ্গে রয়েছে আইপিএল। মাঠে বসে খেলা উপভোগ করতে টিকিট প্রত্যাশীদের রীতিমত যুদ্ধে নামতে হয়! তুমুল জনপ্রিয় আইপিএলের আয় কেমন সেটা আঁচ করা যাচ্ছে বিসিসিআই প্রধান সৌরভ গাঙ্গুলির কথায়।
২০১৫ সালে বিসিসিআইয়ের দেয়া তথ্য অনুযায়ী ভারতের জিডিপিতে ১১.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আসে আইপিএল থেকে। অঙ্কটা এতদিনে আরও সমৃদ্ধ হয়েছে। আইপিএল চলাকালীন বড় দলগুলো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সফর রাখে না। এতেই বোঝা যায় টুর্নামেন্টের গুরুত্ব। গাঙ্গুলির কথায়ও যা স্পষ্ট।
‘আইপিএলকে বিকশিত হতে দেখেছি। যেখানে আমার মতো খেলোয়াড়রা কয়েক শত আয় করেছে এবং এখনকার ক্রিকেটারদের কোটি টাকার উপরে আয় করার সম্ভাবনা রয়েছে। আইপিএল আসর সমর্থক, দেশের মানুষ এবং বিসিসিআই দ্বারা পরিচালিত হয়। আগামীতে এই খেলাটি আরও শক্তিশালী এবং বিকশিত হতে থাকবে। আইপিএল ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের চেয়ে বেশি আয় করে। এটা আমাকে আনন্দিত এবং গর্বিত করে। যে খেলাটিকে ভালোবাসি সেটি আজ এতটা শক্তিশালী হয়ে উঠেছে।’
সবশেষ আইপিএলে মোট ৭৪টি ম্যাচ মাঠে গড়িয়েছে। ছিল নতুন দুটি দল। যেখানে প্রথম আসরেই বাজিমাত করেছে গুজরাট টাইটানস। নিজে যেমন ভারতীয় দলের অধিনায়ক ছিলেন তেমনি জানেন ম্যাচে নেতৃত্বগুণ কতটা জরুরি। সৌরভ কথা বলেছেন সেটি নিয়েও।
‘অধিনায়কত্ব, আমার কাছে মাঠে একটি দলকে নেতৃত্ব দেয়া এবং একটি দল তৈরি করা। তাই আমি শচীন, আজহার বা দ্রাবিড়ের সাথে কাজ করি না কেনো, তাদের সাথে প্রতিযোগিতার; পরিবর্তে আমি নেতা হিসাবে তাদের সাথে সহযোগিতা করেছি এবং দায়িত্ব ভাগ করেছি।’
গাঙ্গুলি ১১৩ টেস্ট এবং ৩১১ ওয়ানডেতে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ২০০৩ বিশ্বকাপে তার নেতৃত্বে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ফাইনালে খেলে ভারত। যদিও সেখানে হারতে হয়েছিল। সেসময় ভারতীয়দের ফাইনালে তোলায় প্রশংসা কুড়িয়েছেন।