আরেকটি হাই স্কোরিং ম্যাচ দেখল আইপিএল। স্কোরবোর্ডে দুইশ ছুঁই ছুঁই রান তুলেও আসরে প্রথম পরাজয়ের স্বাদ পেল রাজস্থান রয়্যালস। নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের পর ব্যাট হাতে ঝড় তুলে শেষ বলে বাউন্ডারি মেরে গুজরাট টাইটান্সকে ৩ উইকেটের নাটকীয় জয় পাইয়ে দেন রশিদ খান।
জয়পুরে বুধবার রাতে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামা রাজস্থান ৩ উইকেটে ১৯৬ রান করে। জবাবে গুজরাট নির্ধারিত ২০ ওভার খেলে ৭ উইকেট খুইয়ে জয়ের বন্দরে পা দেয়।
হারের মুখ দেখা রাজস্থান ৫ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষেই রয়েছে। গুজরাটের নামের পাশে ছয়ের বাহার। ৬ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ছয়ে দলটি উঠে এসেছে।
রাজস্থানের হয়ে রিয়ান পরাগ ৪৮ বলে ৩ চার ও ৫ ছক্কায় ৭৬ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন। তার সঙ্গে তৃতীয় উইকেটে ১৩০ রানের জুটি বাঁধেন সাঞ্জু স্যামসন। অধিনায়ক ও উইকেটরক্ষক ব্যাটার স্যামসন ৩৮ বলে ৭ চার ও ৩ ছক্কায় ৬৮ রানে অপরাজিত থাকেন।
রশিদ খান গুজরাটের হয়ে ৪ ওভারে মাত্র ১৮ রান খরচায় পান এক উইকেট। উমেশ যাদব ও মোহিত শর্মা একটি করে উইকেৎ পেলেও ছিলেন খরুচে।
দুই ওপেনার সাই সুদর্শন ও শুভমন গিল গুজরাটকে লক্ষ্য তাড়ায় ৬৪ রানের উদ্বোধনী জুটি। কুলদীপ সেনের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে ৩৫ রান করা সুদর্শন ক্রিজ ছাড়লে জুটি ভাঙে।
দলের প্রয়োজনীয় সময়ে রাজস্থানের বোলাররা উইকেট তুলতে থাকলেও একপ্রান্ত আগলে রেখে আগ্রাসী ছিলেন গিল। ৪৪ বলে ৬ চার ও ২ ছক্কায় ৭২ রানের ইনিংস খেলে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়েন। জয়ের জন্য গুজরাটের তখন দরকার ছিল ২৮ বলে ৬৪ রান।
শাহরুখ খান ৮ বলে ১৪ রানে ষষ্ঠ ব্যাটার হিসেবে সাজঘরে ফিরলে সমীকরণ দাঁড়ায় ১৫ বলে ৪০ রান। এরপর বাইশ গজে রশিদ ও রাহুল তেওয়াটিয়া আক্রমণাত্মক হন।
শেষ ওভারে গুজরাটের দরকার ছিল ১৫ রান। এ সময় বল হাতে নেন আভেশ খান। প্রথম চার বলে দুই বাউন্ডারিসহ ১১ রান তুলে নেন রশিদ। পঞ্চম বলে তৃতীয় রান নিতে গিয়ে রানআউট হন রাহুল। এর আগে তিনি খেলেন ১১ বলে ৩ চারে ২২ রানের কার্যকরী ইনিংস। গুজরাটের শেষ বলে দরকার ছিল ২ রান। রশিদ অবশ্য পয়েন্টের উপর দিয়ে বাউন্ডারি মেরে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচের পরিসমাপ্তি ঘটান।
রাজস্থানের হয়ে ৪১ রানের বিনিময়ে ৩ উইকেট নেন কুলদীপ। যুজবেন্দ্র চাহাল ৪৩ রানে দুটি ও আভেশ ৪৮ রানে এক উইকেট পান।