ইডেন গার্ডেন্সে শেষ ওভারের নাটকীয়তা ছিল উপভোগ্য। লক্ষ্ণৌর বিপক্ষে জয়ের জন্য কলকাতার প্রয়োজন ছিল ২১ রান। নাটকীয় ওভারটিতে জয়ের কাছাকাছি গিয়েছিল নিতিশ রানার দল। কিন্তু ১ রানের হার মেনে আইপিএলের এবারের আসর থেকেই বিদায় নিতে হয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে। অন্যদিকে, তৃতীয় দল হিসেবে প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস।
নাটকীয় ওভারটিতে বল করতে আসেন যশ ঠাকুর। ব্যাটে ছিলেন বৈভব আরোরা। যশের করা প্রথম বলটি লং-অনে ঠেলে ১ রান নিয়ে রিংকুকে স্ট্রাইক দেন বৈভব। রিংকুর বিপক্ষে দ্বিতীয় বলটি ওয়াইড করেন যশ। পরের দুটি বলে রান নিতে ব্যর্থ হন রিংকু। চতুর্থ বলে আবারও ওয়াইড দেন লক্ষ্ণৌ পেসার। প্রথম তিন বলে বাউন্ডারি না পেলেও চতুর্থ বলে ছক্কা হাঁকান রিংকু। জয়ের জন্য শেষ দুই বলে প্রয়োজন ছিল দুই ছক্কার। তাতে সফল হননি কেকেআর ব্যাটার। পঞ্চম বলে ৪ ও শেষ বলে ৬ হাঁকিয়ে ১০ রান নিতে পারেন।
ঘরের মাঠে টস জিতে লক্ষ্ণৌকে ব্যাটে পাঠায় কলকাতা। আগে ব্যাটে নেমে নির্ধারিত ওভার শেষে ৮ উইকেটে ১৭৬ রান তোলে অতিথি দল। জবাবে ব্যাটে নেমে ৭ উইকেটে ১৭৫ রান করে স্বাগতিক দলটি। জয়ে ১৪ ম্যাচে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তিনে থেকে প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে লক্ষ্ণৌ। ১৪ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের সাতে থেকে আসর শেষ করেছে কলকাতা।
ইডেনে কলকাতা বোলারদের আক্রমণে ধারাবাহিকভাবে উইকেট হারায় লক্ষ্ণৌ। ষষ্ঠ উইকেট জুটি ছিল কিছুটা স্থায়ী। আয়ূশ বাদোনি ও নিকোলাস পুরানের ব্যাটে আসে ৭১ রান। দলীয় ১৪৭ রানে ফেরেন আয়ূশ, ২১ বলে ২৫ রান করে।
দলীয় ১৫৯ রানে আউট হন পুরান। ৩০ বলে ৫৮ রান করেন ক্যারিবীয় উইকেটরক্ষক-ব্যাটার। শেষঅবধি ৮ উইকেট হারিয়ে ১৭৬ রান তোলে লক্ষ্ণৌ।
কলকাতার হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন সুনীল নারিন, শার্দূল ঠাকুর ও বৈভব আরোরা। হার্ষিত ও বরুণ নেন একটি করে উইকেট।
জবাবে নেমে শুরুটা ভালোই পেয়েছিল কলকাতা। দুই ওপেনারের ৬১ রানের জুটির পর ফেরেন ভেঙ্কটেশ আয়ার। ১৫ বলে ২৪ রান করে। দলীয় ৭৮ রানে ফেরেন নিতিশ, ১০ বলে ৮ রান করে। দশম ওভারের শেষ বলে দলীয় ৮২ রানে ফেরেন জেসন রয়। ২৮ বলে ৪৫ রান করে যান।
এরপর রিংকু সিং একপ্রান্ত আগলে রাখলেও অন্যপ্রান্তে ধারাবাহিকভাবে পতন হতে থাকে উইকেটের। শেষঅবধি রিংকুর অনবদ্য ইনিংসে জয়ের কাছাকাছি পৌঁছেও ৩ উইকেট হাতে রেখে ১ রানে হারে কলকাতা। রিংকু অপরাজিত ছিলেন ৩৩ বলে ৬৭ রানে।
লক্ষ্ণৌর হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন রবি বিষ্ণোই ও যশ ঠাকুর। ক্রুনাল পান্ডিয়া ও গৌতম নেন একটি করে উইকেট।