
হেনরিখ ক্ল্যাসেনের সেঞ্চুরিতে চ্যালেঞ্জিং স্কোর পেয়েছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। বিরাট কোহলিও সেঞ্চুরি তুলে দিনটি নিজের করে নেন। দলের জয়ে রাখেন বড় ভূমিকা। কোহলি-ডু প্লেসিসের ১৭২ রানের উদ্বোধনী জুটির ঝড়ে ৮ উইকেটের জয়ে আইপিএলের প্লে অফে খেলার আশা টিকিয়ে রাখল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালোর।
বৃহস্পতিবার রাতে রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামা সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ৫ উইকেটে ১৮৬ রানের পুঁজি পায়। জবাবে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালোর চার বল হাতে রেখে ২ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায়।
বেঙ্গালোর ১৩ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চারে উঠেছে। সমান ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট পেলেও রানরেটে পিছিয়ে থাকায় মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স পঞ্চম স্থানে নেমে গেছে।
পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা গুজরাট টাইটান্স ১৩ ম্যাচে পেয়েছে ১৮ পয়েন্ট। চেন্নাই সুপার কিংস ১৫ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় এবং লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস তৃতীয় স্থানে আছে।
আগামী ২১মে গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষে লিগপর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচ খেলবে বেঙ্গালোর। প্লে অফের টিকিট কাটতে এ ম্যাচে কোহলিদের জয় পাওয়াটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
হায়দরাবাদ ২৮ রানের মধ্যে দুই ওপেনার অভিষেক শর্মা ও রাহুল ত্রিপাঠির উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে। অধিনায়ক এইডেন মার্করামের সঙ্গে ৭৬ রানের জুটি গড়ে দারুণ প্রতিরোধ দেখান হেনরিখ ক্ল্যাসেন।
২০ বলে ১৮ রান করে শাহবাজ আহমেদের বলে মার্করাম হন বোল্ড। চতুর্থ উইকেটে হ্যারি ব্রুকের সঙ্গে ৭৪ রানের জুটি গড়ার পথে ঝড়ো সেঞ্চুরি আদায় করেন ক্ল্যাসেন।
ছক্কা মেরে সেঞ্চুরি হাঁকানো ক্ল্যাসেন ৮ চার ও ৬ ছক্কায় ১০১ রানের ইনিংস খেলে হার্শাল প্যাটেলের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন। এরপর ৫ রান করা গ্লেন ফিলিপস মোহাম্মদ সিরাজের শিকার হন। ১৯ বলে ২ চার ও এক ছক্কায় ২৭ রানে অপরাজিত থাকেন ব্রুক।
বেঙ্গালোরের পক্ষে মিচেল ব্রেসওয়েল পান ২ উইকেট। একটি করে উইকেট নেন সিরাজ, হার্শাল ও শাহবাজ।
১৮৭ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে প্রতিপক্ষ বোলারদের রীতিমত শাসন করতে থাকেন কোহলি এবং ডু প্লেসিস। শুরু থেকে বাইশ গজে দুজনে ছিলেন মারমুখী। ষষ্ঠ ওভারের শেষ বলে ব্যক্তিগত ৩০ রানের মাথায় ডু প্লেসিস রানআউট থেকে রক্ষা পান।
চার ছক্কার ফুলঝুরিতে জুটি বড় করতে থাকেন কোহলি-ডু প্লেসিস। দুজনই আদায় করে নেন ফিফটি। ভূবনেশ্বর কুমারের করা ১৭তম ওভারের চতুর্থ বলে ডিপ মিডউইকেটের উপর দিয়ে ছক্কা মেরে কোহলি পেয়ে যান সেঞ্চুরির দেখা। পরের বলেই অবশ্য ফিলিপসের হাতে ক্যাচ দেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক। ক্রিজ ছাড়ার আগে খেলেন ৬৩ বলে ১২ চার ও ৪ ছক্কায় ১০০ রানের ইনিংস।
খানিক পর ৪৭ বলে ৭ চার ও ২ ছক্কায় ৭১ রান করে টি নটরাজনের বলে ডু প্লেসিস ড্রেসিংরুমে ফিরলেও জয় আটকানো যায়নি। গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ৫ ও ফিলিপস ৪ রানে অপরাজিত থাকেন।
বিজ্ঞাপন