সানরাইজার্স হায়দরাবাদের দেয়া লক্ষ্যের কাছাকাছি পৌঁছেছিল দিল্লি ক্যাপিটালস। তা অবশ্য সল্ট ও মিচেল মার্শের অনবদ্য ইনিংসে নির্ভর করে। তবে তাদের জোড়া ফিফটিও হার এড়াতে পারেনি দিল্লির। হায়দরাবাদের বিপক্ষে ৯ রানে হেরেছে ডেভিড ওয়ার্নারের দিল্লি।
দিল্লিতে টস জিতে আগে ব্যাট করে হায়দরাবাদ। অভিষেক শর্মা ও হেনরিক ক্লাসেনের জোড়া ফিফটির সুবাধে ৬ উইকেটে ১৯৭ রানের সংগ্রহ পায় এইডেন মার্করামের দল। জবাবে ব্যাটে নেমে লড়াই করেও হার মানতে হয় স্বাগতিকদের। নির্ধারিত ওভার শেষে ডেভিড ওয়ার্নাররা সংগ্রহ করে ৬ উইকেটে ১৮৮ রান। দিল্লিকে হারিয়ে ৮ ম্যাচে তিন জয়ে আটে আসল হায়দরাবাদ। অন্যদিকে ৮ ম্যাচে ৬ হারে দশে ক্যাপিটালস।
ব্যাটে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি সানরাইজার্সদের। ২.৩ ওভারে দলীয় ২১ রানে ফেরেন মায়াঙ্ক আগারওয়াল। ৬ বলে পাঁচ রান করেন তিনি। আগারওয়াল ফেরার পর এক প্রান্ত আগলে রাখেন অভিষেক শর্মা। অন্য প্রান্তে ধারাবাহিকভাবে ফেরেন তিন ব্যাটার। ৪৪ রানে ফেরেন রাহুল ত্রিপাঠি (৬ বলে ১০), ৮৩ রানে এইডেন মার্করাম (১৩ বলে ৮) ও হ্যারি ব্রুক (০)। ১১.৩ ওভারে ১০৯ রানে অক্ষর প্যাটেলের শিকার হন অভিষেক শর্মা। ৩৬ বলে ৬৭ রান করেন হায়দরাবাদ ওপেনার।
৬ষ্ঠ উইকেট জুটিতে হাল ধরেন হেনরিক ক্লাসেন ও আব্দুল সামাদ। ১৬২ রানে ফেরেন সামাদ। ২১ বলে ২৮ রান করেন তিনি। এরপর আকিল হোসেনকে নিয়ে নির্ধারিত ওভার শেষে হায়দরাবাদের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১৯৭ রানে পৌঁছান ক্লাসেন। ২৭ বলে ৫৩ রান করে অপরাজিত ছিলেন ক্লাসেন। আকিল করেছেন ১০ বলে ১৬ রান।
দিল্লির হয়ে চারটি উইকেট নিয়েছেন মিচেল মার্শ। একটি করে উইকেট নেন অক্ষর প্যাটেল ও ইশান্ত শর্মা।
জবাবে ব্যাটে শুরুতেই উইকেট হারায় দিল্লি। ইনিংসের দ্বিতীয় বলে শূন্য রানে ফেরেন ওয়ার্নার। উইকেট হারালেও দলকে চাপে পড়তে দেননি পিল সল্ট ও মিচেল মার্শ। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ১১২ রান সংগ্রহ করেন দুই ব্যাটার। ১১.২ ওভারে ফেরেন সল্ট। ৩৫ বলে ৫৯ রান করেন তিনি। পরের ওভারেই ফেরেন মনিষ পান্ডে। ব্যাট হ্যাতে অনুজ্জ্বল ছিলেন তিনি।
১৩.২ ওভারে দলীয় ১২৫ রানে আউট হন মিচেল মার্শ। ৩৯ বলে ৬৩ রান করেন এই অলরাউন্ডার। ১৪০ ও ১৪৮ রানে আরও দুই উইকেট হারায় দিল্লি। উল্লেখযোগ্য রান করতে পারেননি তাদের কেউই। এরপর রিপল প্যাটেলকে নিয়ে দিল্লিকে ১৮৮ রানে পৌঁছান অক্ষর প্যাটেল। ১৪ বলে ২৯ রানে অক্ষর, ৮ বলে ১১ রানে অপরাজিত থাকেন রিপল।
হায়দরাবাদের হয়ে দুটি উইকেট নেন মায়াঙ্ক মার্কান্দে। একটি করে নিয়েছেন ভুবেনশ্বর কুমার, আকিল হোসেন, নাতারাজান ও অভিষেক শর্মা।