‘আমি শুধু অনুশীলন করে যাচ্ছিলাম। সুযোগের অপেক্ষায় ছিলাম। ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া শেষ করেছি। টেনিস বলে ক্রিকেট খেলেছি। কারণ এটা আমার আবেগের জায়গা ছিল।’
আইপিএলে এলিমিনেটর ম্যাচে লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে বিধ্বংসী বোলিং করে ম্যাচসেরার পুরস্কার নেয়ার পর কথাগুলো বলেছেন ডানহাতি পেসার আকাশ মাধওয়াল। ৩.৩ ওভার বল করে ৫ রান খরচায় মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স তারকা তুলে নেন ৫ উইকেট। টুর্নামেন্টটির ইতিহাসে প্লে-অফে এটাই সেরা বোলিং ফিগার।
এবারের আসরে আকাশ করেছেন ১২৯টি বল। ডেথ ওভারে ছিলেন বেশ কার্যকর। ১৭ থেকে ২০ ওভারের ভেতর ৭.৫ ইকোনমি রেটে করেছেন ৫১ বল। চোটের কারণে জফরা আর্চার ও জাসপ্রীত বুমরাহ ছিটকে যাওয়ায় তার উপর নির্ভর করা ছাড়া মুম্বাইয়ের সামনে পথ খোলা ছিল না।
মাত্র ৪ বছর আগেও টেনিস বলে খেলেছেন ক্রিকেট। এর আগে লাল বল স্পর্শ করেও দেখেননি। অথচ উত্তরখন্ড প্রদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে গতবছর খেলে ফেলেন আইপিএল। সূর্যকুমার যাদব চোটে পড়ায় মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের জার্সি গায়ে চড়িয়েছিলেন ২৯ বর্ষী আকাশ।
২০১৯ সালে উত্তরখন্ড দলের কোচ ছিলেন ওয়াসিম জাফর। ওই সময় জাফর ও বর্তমান কোচ মনীশ ঝাঁয়ের নজরে পড়ে যান আকাশ। এরপর লাল বলে ক্রিকেট খেলা শুরু করেন লক্ষ্ণৌর বিপক্ষে বাজিমাত করে আলোচনার খোরাক হয়ে ওঠা পেসার। কোচ মাধওয়াল অবতার সিংয়ের অধীনেও প্রশিক্ষণ নেন আকাশ। ঘরোয়া ক্রিকেটে দারুণ সময় পার করতে থাকায় উত্তরখন্ডের অধিনায়ক হয়ে যান।
ক্রিকেট ক্যারিয়ারে আকস্মিক উত্থানের রহস্য উন্মোচন করে মুম্বাইয়ের তারকা বনে যাওয়া পেসার বলছেন, ‘ইঞ্জিনিয়ারদের তাড়াতাড়ি শেখার প্রবণতা থাকে। আমি শুধু অনুশীলন করে গেছি এবং তা কাজে লাগিয়েছি। নিজেকে নিয়ে গর্বিত। তবে আরও ভালো করার চেষ্টা করব।’
‘আমি শুধু নিজের ভূমিকাটা ঠিকঠাক পালন করার চেষ্টা করছি। নিকোলাস পুরানের উইকেট পাওয়াটা আমার কাছে সেরা। বাড়ির সবাই বিশ্বাস করে আমি কঠোর পরিশ্রম করছি।’