মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সামরিক বাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘাত এখন মংডুর দিকে ছড়িয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত রাখাইনের মংডু শহর ও শহরের দক্ষিণ অঞ্চলে থেমে থেমে গোলাগুলি, মর্টারশেল ও ভারী অস্ত্রের বিস্ফোরণের শব্দ শুনা গেছে।
শনিবার ১৭ ফেব্রুয়ারি সকালে বিকট শব্দে কম্পন দেখা দেয় বলে জানিয়েছেন সীমান্তের বাসিন্দারা। গত দুই সপ্তাহ ধরে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সংঘাতে বাংলাদেশ সীমান্তের বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি এবং কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।
টানা কয়েকদিন সংঘাতের পর পাঁচ দিন ধরে নাইক্ষ্যংছড়ি ও উখিয়া সীমান্ত পরিস্থিতি ছিল অনেকটা শান্ত। তবে গত দুইদিন ধরে টেকনাফের পূর্বে ও দক্ষিণাংশের ওপারে রাখাইনের মংডুতে তুমুল সংঘর্ষ চলছে বলে খবর পাওয়া গেছে। সেখানে মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) কয়েকটি সীমান্তচৌকি রয়েছে। এসব চৌকির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সরকারি বাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরকান আর্মির সঙ্গে লড়াই চলছে। এতে এপারের সেন্টমার্টিন ও শাহপরীর দ্বীপে দুই-তিন দিন ধরে গুলি ও ভারী অস্ত্রের শব্দ পাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের বাসিন্দা সাবেক ইউপি সদস্য ফজলুল হক জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাত থেকে আজ সকাল পর্যন্ত তাঁরা থেমে থেমে গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে। মাঝেমধ্যে বিকট শব্দও কানে আসছে। গতকাল ও আজ সকালে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে।
টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ ৯ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় এ গুলির শব্দ আজ সকালেও শোনা যাচ্ছে। এ ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবদুস সালাম বলেন, নাফ নদীর পূর্ব ও দক্ষিণাংশে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য। রাখাইনের মংডু শহরের আশপাশের মেগিচং, কাদিরবিল, নুরুল্লাহপাড়া, মাংগালা ও ফাদংচা এলাকা অবস্থিত। এসব এলাকার সীমান্তচৌকি ঘিরে সংঘর্ষ হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সংঘাতময় পরিস্থিতির কারণে সীমান্তে বিজিবি ও কোস্টগার্ডের টহল বাড়ানোর হয়েছে। সীমান্তের লোকজনকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।