তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সমাজের প্রতি আমাদের সবার দায়িত্ব আছে। বিশেষ করে সাংবাদিকদের। রিপোর্টিং সমাজ নির্মাণ, সামাজিক স্থিতাবস্থা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) চার দশক উদযাপন উপলক্ষ্যে ডিআরইউর নসরুল হামিদ মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।
দেশ সমাজ রাষ্ট্রকে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে এমন রিপোর্টিং জরুরি উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন: শেখ হাসিনার সরকার যখন ক্ষমতায় আসে তখন টেলিভিশন ছিল ১০টি, এখন ৩৫টি সম্প্রচারে আছে। পত্রিকা ছিল সাড়ে ৪০০, এখন ১২০০।
তবে কিছু ভূঁইফোঁড় সংবাদ মাধ্যম আছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, কিছু ভূঁইফোঁড় সংবাদপত্র ও আইপি টিভিও আছে। কোনটা যে আসল আর কোনটা নকল বোঝা মুশকিল। আমরা এরইমধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ শুরু করেছি। কর্তৃপক্ষ কী টাকা পাঠাবে, উল্টো নাকি প্রতিনিধিরাই টাকা পাঠায়। এমনও দেখেছি। এগুলো এখন অনেকখানি কমে এসেছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন: সচিবালয়ে বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। এরপর উত্থাপিত হয় যে, পৃথিবীর কোনো দেশে সচিবালয়ে ঢোকা এতো সহজ নয় এবং এতো কার্ড দেওয়া হয় না সাংবাদিকদের। তাহলে বাংলাদেশে কেন এতো কার্ড। কিন্তু আমি তথ্যমন্ত্রী হিসেবে প্রতিবাদ করেছি। তবে বৈঠকের পর নীতিমালা করে অর্ধেক করা হয়েছে কার্ড দেওয়া। অনেকে কাজ করেন কক্সবাজার, দিনাজপুরে। তার কী কাজ সচিবালয়ে। এগুলো অনেক কমেছে। যদিও এখনো কিছু আছে।
তিনি বলেন, যখন মন্ত্রী ছিলাম না তখনই রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আমার যাতায়াত বেশি ছিল। আমি কখনো কোনো সাংবাদিককে রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখিনি। আমি দুচোখে যা দেখেছি বুঝেছি তাই করার চেষ্টা করেছি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, সামাজিক অপরাধের পাশাপাশি বেড়েছে রাজনৈতিক অপরাধ। রাজনীতির নামে মানুষ পোড়ানোর ঘটনা পুরো পৃথিবীতে ঘটেছে কি না আমার জানা নেই। রাজনীতির নামে আগুন দেওয়া, মানুষের সম্পদ পোড়ানো, কমিটি পছন্দ হলো না তাই সড়ক অবরোধ, গাড়ি ভাঙচুর, আগুন দেওয়া, মানুষকে প্রতিহিংসাবশত আক্রমণ তো রাজনৈতিক অপরাধ।
ক্র্যাব সভাপতি মির্জা মেহেদী তমালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ক্র্যাব সাধারণ সম্পাদক মামুনূর রশীদ, ডিআরইউ সভাপতি মুরসালিন নোমানী, ক্র্যাবের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, সাবেক নেতারাসহ সাধারণ সদস্যরা।