দেশের অর্থনীতি ইতিবাচক ধারায় ফিরছে উল্লেখ করে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেছেন, ডলারের চাহিদায় ও সরবরাহে একটু পরিবর্তন এসেছে। গতবছর চাহিদা বেশি ছিল। নানা উদ্যোগের মাধ্যমে এখন সেই চাহিদা কমেছে কিন্তু বেড়েছে সরবরাহ। আশা করা যচ্ছে, ডিসেম্বরে মুল্যস্ফীতি ৮ শতাংশ নেমে আসবে।
বৃহস্পতিবার ২৩ নভেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই তথ্য জানা যায়। এতে বলা হয়, বাফেদা ও এবিবির সিদ্ধান্তে ডলারের দর ৫০ পয়সা কমানো হয়েছে, যা ইতিবাচক।
এছাড়াও বর্তমানে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২৫.১৬ বিলিয়ন ডলার রয়েছে উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকারের নেয়া উদ্যোগগুলো ধীরে ধীরে বাস্তবায়ন হচ্ছে। আশাকরা যাচ্ছে, এর ভালো প্রতিফলন ঘটবে।
এর আগে বুধবার ২২ নভেম্বর ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) ও বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের (বাফেদা) যৌথ সভায় ডলারের দাম ৫০ পয়সা কমানোর সিদ্ধান্ত হয়।
এই নতুন দাম কার্যকর হবে জানিয়ে গণমাধ্যমকে বাফেদার চেয়ারম্যান ও রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফজাল করিম বলেন, রেমিট্যান্স বাড়ছে। বাণিজ্য ঘাটতি বেশ কমেছে। বৈদেশিক লেনদেনের চলতি হিসাবের ভারসাম্যে (ব্যালান্স অফ পেমেন্ট বিওপি) ঘাটতি থেকে উদ্বৃত্ত হয়েছে। সব মিলিয়ে ডলারের সরবরাহ বেড়েছে। তাই আমরা ৫০ পয়সা করে কমিয়েছি। এই ধারা অব্যাহত থাকলে পর্যায়ক্রমে আরও কমানো হবে। আশা করছি ডলারের বাজার আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হয়ে আসবে।
আফজাল করিম জানান, বুধবার আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে টাকা-ডলারের বিনিময় হার ছিল ১১১ টাকা। বৃহস্পতিবার থেকে তা হবে ১১০ টাকা ৫০ পয়সা। রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্সের ক্ষেত্রে ডলারের দর ছিল ১১০ টাকা ৫০ পয়সা। বৃহস্পতিবার থেকে এই দু’ক্ষেত্রেই ডলারের দর হবে ১১০ টাকা।