গতবছর টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে ব্যর্থতার পর ভারতের কোচের দায়িত্ব ছেড়েছেন রবি শাস্ত্রী। পরে প্রায় ৮ মাস কেটে গেছে, শাস্ত্রী যোগ দিয়েছেন পুরনো পেশা ধারাভাষ্যে। চলতি ভারত-ইংল্যান্ড ম্যাচে মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে এখন আছেন এজবাস্টনে। সেখানেই কোচিংয়ের বিষয়ে নতুন বোমা ফাটালেন সাবেক ব্যাটার। বলেছেন, ভুল করে হয়েছিলেন ভারতের কোচ।
দায়িত্বের সময়টা সংবাদমাধ্যমের ভয়ে কাটিয়েছেন, এমনকি সাংবাদিকদের ভয়েই দেশের বাইরে ভালো খেলার লক্ষ্য হাতে নিয়েছিলেন বলেও জানালেন শাস্ত্রী।
‘চাকরিটা ভুল করে পেয়েছি। এটা রাহুলকেও বলেছি। আমার পর দায়িত্ব পাওয়ার জন্য রাহুলের চেয়ে যোগ্য কেউ ছিল না। ধারাভাষ্য দিচ্ছিলাম, হঠাৎ করে আমাকে বলা হল কোচের দায়িত্ব নিতে। সাধ্যমতো চেষ্টা করেছিলাম। সেখানে রাহুল একটা নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে এগিয়েছে। অনূর্ধ্ব-১৯ দলের কোচ ছিল। তারপর জাতীয় দলের দায়িত্বে। ও যা বলছে, দল সেটা মেনে চললে আশা করি আগামীতে ভালো কিছু হবে।’
‘সংবাদমাধ্যম নিয়ে সবচেয়ে বেশি চিন্তায় ছিলাম। জানতাম ছেলেরা ভালো খেললে সংবাদমাধ্যম ভালো আচরণ করবে। কিন্তু ভুল হলে ওরা আপনাকে ছিঁড়েখুঁড়ে খাবে। কাজটা খুব সহজ ছিল, ভারতীয় ক্রিকেটের ব্যাপারে সংবাদমাধ্যম কী ভাবে সেটা খুঁজে বের করা। দেখলাম, ঘরে ভালো খেললেও বিদ্রূপ করা হয়। বিদেশে গিয়ে এমনিতেই আমরা ভালো খেলতে পারতাম না। তাই চেয়েছিলাম সংবাদমাধ্যমকে ভুল প্রমাণ করতে। তার জন্য গোটা দল, বিরাটের সঙ্গে বসে কথা বলি এবং ঠিক করি যেকরেই হোক প্রতি টেস্টে আমাদের ২০টা উইকেট নিতে হবে। পিচ কেমন সেটা মাথায় আনলে চলবে না।’

২০১৭ সালের জুলাইয়ে দুবছরের জন্য ভারতের প্রধান কোচের দায়িত্ব নিয়েছিলেন শাস্ত্রী। সবশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর মেয়াদ বাড়ানো হয় আরও দুবছর। তার অধীনে কোনো বিশ্বকাপ না জিতলেও ভারতের অন্যতম সফল কোচ হয়েছেন। কারণ দেশের বাইরে সাফল্যের বিচারে ভারতকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন।
শাস্ত্রীর সময়েই এশিয়ার প্রথম দল হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্ট সিরিজ জিতে ফেরে ভারত। ২০২০-২১ মৌসুমেও অজিদের মাটি থেকে সিরিজ জিতে আসে। প্রথম দল হিসেবে নিউজিল্যান্ডকে টি-টুয়েন্টিতে ৫-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করা দল হয় ভারত।
