অবশেষে পৃথিবীর কক্ষপথ অতিক্রম করে চাঁদের কক্ষপথে পৌঁছেছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর তৈরি চন্দ্রযান-৩। উৎক্ষেপণের ২২ দিন পর চাঁদে পৌঁছেছে চন্দ্রযানটি। তবে এখন মূল গন্তব্য থেকে দূরে অবস্থান করেছে চন্দ্রযান-৩।
ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
ইসরো জানিয়েছে, স্থানীয় সময় ৭টা ১২ মিনিটে মহাকাশযানটিকে চাঁদের কক্ষপথে ঢুকিয়ে দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। মোট ১ হাজার ৮৩৫ সেকেন্ডের চেষ্টার পর তা সফলভাবে করা হয়েছে। চাঁদের আকর্ষণবলের আওতায় বর্তমানে চন্দ্রযান-৩-এর অবস্থান ১৬৪ কিমি গুন ১৮ হাজার ০৭৪ কিমি কক্ষপথে।
শনিবার (৫ আগস্ট) স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় চাঁদে পৌঁছেছে চন্দ্রযান-৩। তবে সম্পূর্ণ রুপে চাঁদে অবতরণের আগে বেশ কিছু দিকে নজরদারি বাড়াতে হবে চন্দ্রযান-৩ এর।
চাঁদের আকর্ষণবলের সাহায্যে এ বার তার চারপাশে পাক খাবে চন্দ্রযান-৩। ধীরে ধীরে কমে আসবে চন্দ্রযানটির গতি। চাঁদের মাধ্যাকর্ষণের শক্তি পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণের চেয়ে ছয় গুণ কম। সেই কারণেই ধীরে ধীরে গতি কমাতে হবে চন্দ্রযান-৩ এর।
চন্দ্রযান-৩-এর প্রাথমিক গন্তব্য চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে। তার পরেই চন্দ্রাভিযানের কঠিন পর্ব আসবে। সেটাই হতে চলেছে কঠিনতম পরীক্ষা। আগামী ২৩ আগস্ট স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা ৪৭ মিনিটে রোভার প্রজ্ঞানকে পেটের ভিতরে নিয়ে ‘পাখির পালকের মতো অবতরণ’ (সফট ল্যান্ডিং) করার কথা চন্দ্রযান-৩-এর ল্যান্ডার বিক্রমের। চার বছর আগে ঠিক ওই পর্যায়ে এসে ব্যর্থ হয়েছিল ইসরোর ‘চন্দ্রযান-২’।
চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে নামার কথা চন্দ্রযান-৩-এর ল্যান্ডার বিক্রমের। সেই অভিযান যদি সফল হয়, তবে ভারতের মহাকাশ গবেষণা নিঃসন্দেহে নতুন মাত্রা পাবে। আমেরিকা, রাশিয়া, চীনের পরে চতুর্থ দেশ হিসাবে মহাকাশযান সফল ভাবে চাঁদে অবতরণ করানোর তালিকায় উঠে আসবে ভারত।