বিশ্বকাপ ও এশিয়া কাপের আগে তরুণদের সুযোগ দিতে প্রথম ম্যাচে সাতে নেমেছিলেন রোহিত শর্মা, ব্যাটিংয়েই নামেননি বিরাট কোহলি। সেই ম্যাচে জয়ের পর দ্বিতীয়টিতে একাদশেই ছিলেন না ভারতের দুই মহাতারকা। হার্দিক পান্ডিয়ার নেতৃত্বে দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাটিং ব্যর্থতায় হার নিয়ে মাঠ ছেড়েছে টিম ইন্ডিয়া।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বার্বাডোজে শনিবার রাতে ৬ উইকেটে হেরেছে ভারত। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ১-১ সমতা এখন।
ম্যাচ শেষে ভারতকে নেতৃত্ব দেয়া পান্ডিয়া বলেছেন, ‘আমরা যেভাবে ব্যাট করতে চেয়েছিলাম সেভাবে পারিনি। প্রথম ম্যাচের চেয়ে এই ম্যাচের উইকেট ভালো ছিল। আমাদের প্রায় সবাই ফিল্ডারদের কাছে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়েছেন। যা আসলেই হতাশাজনক, কিন্তু অনেককিছুই শেখার আছে।’
‘আমাদের ওপেনাররা যেভাবে ব্যাটিং করেছে, বিশেষ করে ঈশান, সেটা ভারতের জন্য ভালো। আশা করছি বিশ্বকাপের আগে সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। সত্যি বলতে, এখন সিরিজটি আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং। ১-১ সমতায় থেকে শেষ ম্যাচ খেলতে হবে।’
ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা দারুণ করে সফরকারী ভারত। শুভমন গিল ও ঈশান কিষাণের উদ্বোধনী জুটি ভাঙে দলীয় ৯০ রানে। আগের ইনিংসে ফিফটি পাওয়া কিষাণ খেলেন ৫৫ বলে ৫৫ রানের ইনিংস। মেরেছেন ৬টি চার ও ১টি ছয়।
পরে ৩৪ রান করে বিদায় নেন আরেক ওপেনার শুভমন। দুই ওপেনারের বিদায়ের পরের পাঁচ ওভারে অক্ষর প্যাটেল, হার্দিক পান্ডিয়া ও সাঞ্জু স্যামসনও উইকেট ছাড়েন। আগের ম্যাচের মতো ১১৩ রানে পাঁচ ব্যাটার বিদায় নেন ভারতের।
সূর্যকুমার যাদব ২৪, শার্দুল ঠাকুর ১৬ এবং রবীন্দ্র জাদেজার ব্যাট থেকে আসে ১০ রান। উদ্বোধনী জুটির ৯০ রানের পর বাকি সব জুটি মিলিয়ে রান আসে ৯১। শেষ পর্যন্ত সব উইকেট হারিয়ে ৪০.৫ ওভারে ১৮১ রানে থেমে যায় ভারত।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে তিনটি করে উইকেট নেন গুধাকেশ মোটি ও রোমারিও শেফার্ড। আলঝারি জোসেফ দুটি, জেডেন সেলেস ও ইয়ানিক ক্যারিয়াহ নেন একটি করে উইকেট।
জবাবে ১৮২ রান তাড়ায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ জিতে যায় ৮০ বল বাকি রেখে। এর আগে সবশেষ ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চেন্নাইয়ে রোহিতদের বিপক্ষে ওয়ানডেতে ক্যারিবীয়রা জয় পেয়েছিল। এই ফরম্যাটে ভারতের বিপক্ষে পরের জয়টি পেতে অপেক্ষা করতে হল চার বছর।
ক্যারিবীয় দুই ওপেনার ব্রেন্ডন কিং ও কাইল মেয়ার্সের দারুণ ব্যাটিংয়ে উদ্বোধনী জুটি থেকে আসে ৫৩ রান। ২৮ বলে ৩৬ রান করে শার্দুল ঠাকুরের বলে আউট হন মেয়ার্স। পরে দ্রুত ফেরান কিং ও আলিক আথানেজকেও। কিন্তু পঞ্চম উইকেটে ঠাণ্ডা মাথার ব্যাটিংয়ে ৯১ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ম্যাচ শেষ করেন হোপ ও কেসি কার্টি।
৮০ বলে ৬৩ রানে অপরাজিত থেকে ম্যাচসেরা হন অধিনায়ক হোপ। একাদশে ফেরার ম্যাচে কার্টি অপরাজিত থাকেন ৬৫ বলে ৪৮ রান করে।
মঙ্গলবার ত্রিনিদাদের ব্রায়ান লারা স্টেডিয়ামে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে মুখোমুখি হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ-ভারত।