সাদা হোক বা লাল বলের ক্রিকেট—ব্যাটিংয়ে নিজের পুরোনো ধারা হারিয়ে খুঁজছেন বিরাট কোহলি। অধিনায়কত্ব ছাড়ার পর বাজে ফর্মও পেয়ে বসেছে তাকে। শক্ত পাইপ-লাইন থাকা সত্ত্বেও অফফর্মের এই ডানহাতি ব্যাটার দলে কেন, এ নিয়ে বিস্তর প্রশ্ন। বিশ্বসেরা ব্যাটারকে সবার চেয়ে একধাপ এগিয়ে ‘মাথাব্যথার’ কারণ হিসেবে দেখছেন কপিল দেব।
ভারতকে ১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপ জেতানো সাবেক ব্যাটারের মতে, শুধু ভালো খেলোয়াড়ের তকমা নিয়ে দলে জায়গা পাওয়াটা ঠিক না। বিশ্বসেরার দোহাইয়ে নয়, দলে জায়গা পেতে ভালো খেলার বিকল্প নেই। তাতে কেউ ব্যর্থ হলে, ফর্মে থাকা তরুণদের বাজিয়ে দেখতে নির্বাচকদের পরামর্শ দিয়েছেন সাবেক কোচ।
‘শুধু খ্যাতি দিয়ে উতরে যেতে পারেন না, আপনাকে বর্তমান ফর্মের দিকে তাকাতে হবে। আপনি প্রতিষ্ঠিত খেলোয়াড় হতে পারেন তবে এর মানে এই নয় যে টানা পাঁচটি ম্যাচে ব্যর্থ হলেও আপনাকে সুযোগ দেওয়া হবে।’ বলছেন কপিল দেব।
গত আড়াই বছরে ওয়ানডে, টেস্ট এবং টি-টুয়েন্টিতে খুব বাজে সময় পার করছেন কোহলি। আইপিএলের সবশেষ আসরেও হাসেনি তার ব্যাট। পুরো এই সময়ে একবারও পাননি দুহাত উপরে তোলার উপলক্ষ। তার অনুপস্তিতিতে তরুণ সূর্যকুমার যাদব, দিপক হুডা, শ্রেয়াস আইয়াররা দারুণ ভূমিকা রাখছেন। অনেকের মতো কপিল দেবও বিরাটকে বেঞ্চে বসানোর পক্ষে।
‘হ্যাঁ, এখানে মাথাব্যথার কারণ হতে পারে, তবে তাকে আরও ভালো পারফর্ম করতে হবে। পরিস্থিতি এমন যে আপনি কোহলিকে টি-টোয়েন্টি ম্যাচের প্লেয়িং একাদশ থেকে বাদ দিতে বাধ্য হতে পারেন। যদি বিশ্বের ২ নম্বর বোলার রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে টেস্টে বাদ দিতে পারেন, তাহলে বিশ্বের এক নম্বর খেলোয়াড়ও বাইরে বসতে পারে।’
‘বিশ্রামের’ নামে তারকা খেলোয়াড়দের বাদ দেওয়ার পক্ষে না কপিল, ‘আপনি এটাকে বিশ্রাম বলতে পারেন। এটিকে বাদ দেওয়াও বলতে পারেন। প্রত্যেক ব্যক্তির মতামত থাকবে। যদি নির্বাচকরা তাকে বাছাই না করেন, বলতে পারবেন আমরা তারকা খেলোয়াড়দের বিশ্রাম দিয়েছি কারণ পারফর্ম করছে না।’
এই মুহূর্তে কোহলি নিজের নামের সুবিচার করতে না পারলেও খুব দ্রুত ফিরে আসবেন বিশ্বাস ভারতের সাবেক বিশ্বকাপজয়ী তারকার। তিনি চান কোহলি আবারও পুরোনো ধারায় ফিরে আসুক।
‘কোহলির অনেক বেশি সক্ষমতা ও ক্রিকেটীয় মেধা আছে। আপনি সবসময় চাইবেন এমন একজন খেলোয়াড় ফিরে আসুক। তবে তিনি যদি সাম্প্রতিক সময়ে পারফর্ম না করেন, ইটস ফাইন তাকে বাদ দিয়ে দেও। তরুণ তারকারা দারুণ খেলছে। আপনি যদি অশ্বিনকে বাদ দিতে পারেন তাহলে অন্য যে কেউকে পারবেন।’